Class 8 Geography Third Chapter Shila Questions and Answers
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – শিলা / Class 8 Question & Answers
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর সিরিজের মধ্যে আজকে তোমাদের জন্য থাকছে তৃতীয় অধ্যায় শিলা প্রশ্ন ও উত্তর (Class Eight Vugol Shila Proshno o Uttor)। ভালো করে প্রশ্ন ও উত্তরগুলো বাড়িতে বসে প্রাকটিস করো এবং আমাদের কমেন্ট করে জানাতো পারো তোমার এই পোস্টটি কেমন লাগলো এবং এর সাথে তোমার যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে সেটিও আমাদের জানাতে পারো ।
Class Eight Amader Prithibi - Shila MCQ Questions । প্রশ্নের মান - 1
A. সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখো :
(i) এক বা একাধিক মৌলিক পদার্থ মিলিত হয়ে তৈরি হয় –
(a) খনিজ
(b) শিলা
(c) মাটি
(d) মৌল
উত্তর : - (a) খনিজ
(ii) লাভা জমাটবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় -
(a) মারবেল
(b) ব্যাসল্ট
(c) বেলেপাথর
(d) স্লেট
উত্তর: (b) ব্যাসল্ট
(iii) আগ্নেয় শিলার একটি উদাহরণ হল -
(a) চুনাপাথর
(b) ব্যাসল্ট
(c) বেলেপাথর
(d) মার্বেল
উত্তর: (b) ব্যাসল্ট
(iv) মৃত্তিকার স্তর পরপর সঞ্চিত হয়ে তৈরি হতে পারে -
(a) খনিজ পদার্থ
(b) আগ্নেয় শিলা
(c) পাললিক শিলা
(d) রূপান্তরিত শিলা
উত্তর: (c) পাললিক শিলা
(v) যে শিলা থেকে কালো মাটি সৃষ্টি হয়েছে, তা হল –
(a) গ্রানাইট
(b) ব্যাসল্ট
(c) বেলেপাথর
(d) মার্বেল
উত্তর: (b) ব্যাসল্ট
(vi) জীবাশ্ম দেখা যায় যে শিলায়, তা হল –
(a) কাদাপাথর
(b) ব্যাসল্ট
(c) বেলেপাথর
(d) মার্বেল
উত্তর: (a) কাদাপাথর
(vii) অ্যানথ্রাসাইট কয়লা রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি হয় -
(a) গ্রানাইট
(b) গ্রাফাইট
(c) কোয়ার্টজ়াইট
(d) অ্যাম্ফিবোলাইট
উত্তর: (b) গ্রাফাইট
(viii) কোন ধরনের শিলায় জীবাশ্ম থাকার সম্ভবনা রয়েছে?
(a) আগ্নেয় শিলা
(b) রূপান্তরিত শিলা
(c) পাললিক শিলা
(d) উপরের কোনটিই নয়
উত্তর: (c) পাললিক শিলা
(ix) গ্রাফাইট কোন ধরনের শিলা?
(a) রূপান্তরিত শিলা
(b) আগ্নেয় শিলা
(c) পাললিক শিলা
(d) জৈব শিলা
উত্তর: (a) রূপান্তরিত শিলা
(x) কখনো কখনো শিলাবৃষ্টি হয়। এ ধরনের বৃষ্টির কারণ কি?
(a) মেঘের জলের কণা খুবই উত্তপ্ত হয়ে যায়
(b) মেঘে জলের কণার চেয়ে ক্লোরিনের পরিমাণ বেশি হয়ে গেলে
(c) মেঘের জলের কণার সাথে বাতাসের ভাসমান রাসায়নিক পদার্থের বিক্রিয়ার ফলে
(d) মেঘের জলের কণা খুব ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায়
উত্তর: (d) মেঘের জলের কণা খুব ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায়
(xi) অ্যানথ্রাসাইট কয়লা রূপান্তরিত হয়ে সৃষ্টি হয় –
(a) গ্রানাইট
(b) গ্রাফাইট
(c) কোয়ার্টজাইট
(d) অ্যাম্ফিবোলাইট
উত্তরঃ- (b) গ্রাফাইট
(xii) যে শিলা থেকে কালো মাটি সৃষ্টি হয়েছে, তা হল –
(a) গ্রানাইট
(b) চুনাপাথর
(c) ব্যাসল্ট
(d) বেলেপাথর
উত্তরঃ- (c) ব্যাসল্ট
(xiii) লাভা জমাটবদ্ধ হয়ে সৃষ্টি হয় –
(a) মার্বেল
(b) ব্যাসল্ট
(c) বেলেপাথর
(d) স্লেট
উত্তরঃ- (b) ব্যাসল্ট
(xiv) আগ্নেয় শিলার একটি উদাহরণ হল –
(a) বেলেপাথর
(b) চুনাপাথর
(c) মারবেল
(d) ব্যাসল্ট
উত্তরঃ- (d) ব্যাসল্ট
(xv) জীবাশ্ম দেখা যায় যে শিলায়, তা হল –
(a) কাদাপাথর
(b) নিস
(c) গ্রানাইট
(d) ব্যাসল্ট
উত্তরঃ- (a) কাদাপাথরে।
(xvi) একটি ক্ষারকীয় শিলা হল -
(a) ব্যাসল্ট
(b) গ্রানাইট
(c) কমেটাইট
(d) নিস্
উত্তর : - (a) ব্যাসল্ট
(xvii) চুনাপাথর থেকে ____ তৈরি হয়।
(a) মার্বেল
(b) নিস
(c) কোয়ার্টজাইট
(d) ব্যাসল্ট
উত্তর : - (a) মার্বেল
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল – তৃতীয় অধ্যায় "শিলা" প্রশ্ন ও উত্তর। প্রশ্নের মান - 1
2.A. নীচের বাক্যগুলির কোনটি শুদ্ধ ও কোনটি অশুদ্ধ লেখো :
(i) তাজমহল তৈরি হয়েছে মারবেল শিলা দিয়ে।
উত্তর : - শুদ্ধ
(ii) সিলিকন একপ্রকার মৌল।
উত্তর : - শুদ্ধ
(iii) শুধু ভূঅভ্যন্তরের প্রচণ্ড চাপের ফলেই শিলা রূপান্তরিত হয়।
উত্তর : - অশুদ্ধ
(iv) নানা ধরনের মৃত্তিকা বিভিন্ন ধরনের কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত।
উত্তর : - শুদ্ধ
(v) অধিক ভূমিঢাল দ্রুত মাটি সৃষ্টির সহায়ক।
উত্তর : - অশুদ্ধ
Fill in The Blanks WBBSE Class 8 Geography Chapter 3 Solution। প্রশ্নের মান - 1
B. শূন্যস্থান পূরণ করো :
(i) লাভা জমাটবদ্ধ হয়ে _________..শিলা তৈরি হয়।
উত্তর : - আগ্নেয়
(ii) বালি প্রধানত ___দ্বারা গঠিত।
উত্তর : - কোয়ার্টজ
(iii) প্রাথমিক শিলা বলা হয় _______শিলাকে।
উত্তর : - আগ্নেয়
(iv) হিরে হল একপ্রকার ______।
উত্তর : - খনিজ
(v) বোর্ডে যে চক দিয়ে লেখা হয় তা আসলে একপ্রকার __________।
উত্তর : - পাললিক শিলা
(vi) বেলেপাথর _____ শিলার উদাহরণ।
উত্তর : - পাললিক
(vii) মারবেল _____ শিলার উদাহরণ।
উত্তর : - রূপান্তরিত
শিলা (তৃতীয় অধ্যায়) অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর। প্রশ্নের মান - 1
C. ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মেলাও :
ক- স্তম্ভ - খ-স্তম্ভ
(i) চকখড়ি (a) রূপান্তরিত শিলা
(ii) গ্রানাইট (b) ক্যালসাইট
(iii) স্লেট (c) আগ্নেয় শিলা
(iv) আগ্নেয় শিলা (d) মাটি
(v) রেগোলিথ (e) ব্যাসল্ট
উত্তর : -
ক- স্তম্ভ - খ-স্তম্ভ
(i) চকখড়ি (b) ক্যালসাইট
(ii) গ্রানাইট (c) আগ্নেয় শিলা
(iii) স্লেট (a) রূপান্তরিত শিলা
(iv) আগ্নেয় শিলা (e) ব্যাসল্ট
(v) রেগোলিথ (d) মাটি
WBBSE Board Class 8th (অষ্টম শ্রেণি) আমাদের পৃথিবী Chapter 3 Shila Proshno o Uttor
D. নীচের প্রশ্নগুলির দু-একটি বাক্যে উত্তর দাও :
(i) গাঙ্গেয় সমভূমিতে কী প্রকার মৃত্তিকা পাওয়া যায়?
উত্তর : - পলি
(ii) ফেল্ডসপারের একটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর : - এটি অস্বচ্ছ প্রকৃতির হয়
(iii) গ্রানাইট শিলা গঠনকারী একটি খনিজের নাম লেখো।
উত্তর : - কোয়ার্টজ
(iv) কোন্ প্রকার শিলাস্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়?
উত্তর : - পাললিক
(v) চুনাপাথরের একটি ব্যবহার উল্লেখ করো।
উত্তর : সিমেন্ট তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
(vi) একটি নিঃসারী আগ্নেয় শিলার উদাহরণ লেখো।
উত্তর : - ব্যাসল্ট
(vii) মোহ স্কেল কী ?
উত্তর : - খনিজের কাঠিন্য পরিমাপের স্কেল । এই স্কেলে 1-10 পর্যন্ত দশটি ভাগ আছে ।
(viii) কোন প্রকার শিলাস্তরে খনিজ তেল পাওয়া যায়?
উত্তর : - পাললিক
(ix) একটি নরম খনিজের নাম করো ।
উত্তর: - জিপসাম ।
(x) চুনাপাথরের রাসায়নিক নাম কী ?
উত্তর : - ক্যালশিয়াম কার্বনেট ।
(xi) কোন পাথরের প্রবেশ্যতা খুব বেশি ?
উত্তর: - বেলেপাথরের।
(xii) ভারতের খনিজ ভান্ডার কাকে বলে?
উত্তর: - ছোটনাগপুর মালভূমি।
(xiii) দুটি আগ্নেয় শিলার নাম লেখ?
উত্তর : - গ্রানাইট ও ব্যাসল্ট।
(xiv) একটি পাতালিক শিলার নাম লেখো।
উত্তর : - গ্রানাইট।
(xv) একটি উপ পাতালিক শিলার নাম লেখো?
উত্তর : - ডোলেরাইট।
অষ্টম শ্রেণীর ভূগোল তৃতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর । প্রশ্নের মান - 2 / 3
নিন্মলিখিত প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : -
১। শিলা কাকে বলে ?
উত্তর: - এক বা একাধিক খনিজের সমসত্ত্ব বা অসমসত্ত্ব মিশ্রণকে শিলা বলে। যেমন— গ্রানাইট শিলা।
২। খনিজ কাকে বলে ?
উত্তর: - যে সকল পদার্থ দিয়ে শিলা তৈরি হয় এবং যা এক বা একাধিক অজৈব মৌলিক পদার্থের যৌগ। যেমন— গ্রানাইট শিলা কোয়ার্টজ, ফেল্ডসপার মাইকা দিয়ে গঠিত।
৩। পেট্রোলজি (Petrology) কী ?
উত্তর: - গ্রিক শব্দ 'Petro' -র অর্থ শিলা এবং "logy"-র অর্থ বিজ্ঞান।
বিজ্ঞানের যে বিশেষ শাখায় শিলা ও তার বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হয়, সেই শাখাকে পেট্রোলজি বলে।
৪। মিনরেলজি (Mineralogy) কী ?
উত্তর: - 'Mineral' হল খনিজ। অর্থাৎ বিজ্ঞানের যে শাখায় খনিজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, সেই শাখাকে মিনারেলজি বলে।
৫। উৎপত্তি অনুসারে শিলাকে কয়ভাগে ভাগ করা হয় ও কী কী?
উত্তর: - শিলাকে উৎপত্তি অনুসারে তিনভাগে ভাগ করা হয়। যথা— নিঃসারী শিলা, উপপাতালিক ও পাতালিক শিলা।
৬। রাসায়নিক উপাদান অনুসারে আগ্নেয় শিলাকে শ্রেণিবিভাগ করো।
উত্তর: - রাসায়নিক উপাদান অনুসারে আগ্নেয়শিলার শ্রেণিবিভাগ হল—
(i) আল্মিক শিলা, (ii) মধ্যবর্তী শিলা, (iii) ক্ষারকীয় শিলা, (iv) অতিক্ষারতীয় শিলা।
৭। প্রাথমিক শিলা কাকে বলে ?
উত্তর : - পৃথিবী সৃষ্টির সময় উত্তপ্ত ও তরল অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে তাপ বিকিরণ করে ভূত্বকের মধ্যে ও ওপরে প্রথম যে কঠিন শিলার সৃষ্টি হয় সেটি আগ্নেয় শিলা। যেহেতু এই শিলা প্রথম সৃষ্টি হয়েছিল তাই এই শিলাকে প্রাথমিক শিলা বলে।
৮। পাললিক শিলা কীভাবে তৈরি হয় ?
উত্তর : - পাললিক শিলা (Sedimentary Rock) হলো সেই ধরনের শিলা যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তির (যেমন পানি, বাতাস, হিমবাহ) মাধ্যমে ক্ষয়প্রাপ্ত শিলার অংশ বা পলির সঞ্চিত হওয়া ও পরবর্তী সময় চাপ ও তাপের প্রভাবে একত্রিত হয়ে তৈরি হয়।
৯। আগ্নেয় শিলা কাকে বলে ?
উত্তর : - আগ্নেয় শিলা (Igneous Rock) হলো সেই ধরনের শিলা যা পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে উদ্ভূত ম্যাগমা বা লোভার ঠান্ডা হয়ে কঠিন হয়ে গঠন হয়। এই শিলাগুলি সাধারণত দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত: অন্তঃস্থলগত (Intrusive) এবং বহিঃস্থলগত (Extrusive)। অন্তঃস্থলগত শিলা গুলি ম্যাগমা গভীর ভূগর্ভে ঠান্ডা হয়ে কঠিন হয়, যেমন গ্রানাইট। বহিঃস্থলগত শিলা গুলি ভূ-অগ্নির মাধ্যমে মাটি থেকে উদ্গত হয়ে সরাসরি বাতাসে ঠান্ডা হয়ে গঠন হয়, যেমন ব্যাসল্ট। আগ্নেয় শিলার মধ্যে প্রচুর খনিজ থাকে এবং এগুলি পৃথিবীর মাটি গঠন প্রক্রিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলি সাধারণত দৃঢ়, শক্ত এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
১০। রূপান্তরিত শিলা কীভাবে সৃষ্টি হয় ?
উত্তর : - রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rock) সৃষ্টির প্রক্রিয়াটি ঘটে যখন আগ্নেয় বা পাললিক শিলাগুলি ভূগর্ভে তাপ ও চাপের প্রভাবে পরিবর্তিত হয়। এই শিলাগুলির গঠন এবং গঠনগত বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধরনের শিলা তৈরি হয়। তাপ ও চাপের প্রভাবে শিলার খনিজের আণবিক গঠন বদলে যায় এবং শিলার টেক্সচার বা গঠনগত চরিত্রে পরিবর্তন আসে। উদাহরণস্বরূপ, চুনাপাথর তাপ ও চাপের প্রভাবে মার্বেল এ পরিণত হয়, আর কাদাপাথর শেল শিলাতে পরিণত হতে পারে। এই প্রক্রিয়া সাধারণত ভূত্বকের গভীরে ঘটে, যেখানে তাপমাত্রা এবং চাপ বেশি থাকে।
১১। শিলাচক্র কাকে বলে ?
উত্তর : - শিলাচক্র হল একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া, যেখানে আগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা এবং রূপান্তরিত শিলা একে অপরের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। শুরু হয় যখন আগ্নেয় বা পাললিক শিলা তাপ, চাপ এবং রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রভাবে রূপান্তরিত শিলায় পরিণত হয়। এরপর, দীর্ঘ সময় পর এই শিলাগুলি ভূ-আলোরণের ফলে আবার ভূগর্ভে গিয়ে ম্যাগমা সৃষ্টি করে, যা আবার আগ্নেয় শিলায় পরিণত হয়। আবার, রূপান্তরিত শিলা প্রাকৃতিক শক্তির প্রভাবে ক্ষয় হয়ে নদী বা সমুদ্রের তলদেশে সঞ্চিত হয়ে পাললিক শিলা গঠন করে। এই পুরো প্রক্রিয়াটি ক্রমান্বয়ে এক চক্রের মধ্যে আবর্তিত হয়, এবং একে বলা হয় শিলাচক্র।
১২। জীবাশ্ম কি ?
উত্তর : - জীবাশ্ম হল কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণীর দেহের প্রস্তুরীভূত ছাপ, যা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পলিমাটি স্তরে চাপা পড়ে এবং পাললিক শিলা গঠনের সময় সঞ্চিত হয়। এই জীবাশ্মগুলি প্রাকৃতিকভাবে এমনভাবে সংরক্ষিত হয় যে, এগুলির আকার বা রূপ বদল হয়ে শিলার মধ্যে চিরস্থায়ী ছাপ হিসেবে রয়ে যায়। জীবাশ্মগুলি প্রমাণ হিসেবে কাজ করে প্রাচীন পৃথিবী ও জীবনের ইতিহাস জানার জন্য। Fossil নামে পরিচিত জীবাশ্মগুলি বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে আমাদের অতীতের পৃথিবী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়।
১৩। ম্যাগমা ও লাভার মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : - ম্যাগমা এবং লাভা উভয়ই আগ্নেয় শিলা সৃষ্টির মূল উপাদান, তবে তাদের মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য রয়েছে:
(i) অবস্থান:
ম্যাগমা: এটি ভূগর্ভে বা মাটির নিচে থাকে। এটি তাপ ও চাপের কারণে গলিত শিলা, গ্যাস, এবং খনিজ পদার্থের সংমিশ্রণ।
লাভা: যখন ম্যাগমা পৃথিবীর ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে, তখন তাকে লাভা বলা হয়। এটি আগ্নেয়গিরির লাভাশব্দে বা ফাটল থেকে বের হয়।
(ii) তাপমাত্রা:
ম্যাগমা: ভূগর্ভে এটি সাধারণত ৭০০°C থেকে ১২০০°C তাপমাত্রায় থাকে।
লাভা: লাভার তাপমাত্রা সাধারণত ৬০০°C থেকে ১২০০°C হয়, তবে এটি ভূ-পৃষ্ঠে আসার পরে কিছুটা ঠান্ডা হতে পারে।
(iii) উপাদান:
ম্যাগমা: এতে গ্যাস, পানি, খনিজ পদার্থ এবং বিভিন্ন অন্যান্য উপাদান থাকে।
লাভা: লাভা ভূ-পৃষ্ঠে আসার পরে কিছু গ্যাস নির্গত হয়, তবে এর মধ্যে ম্যাগমার তুলনায় গ্যাসের পরিমাণ কম থাকে।
(iv) গঠন:
ম্যাগমা: এটি আরও তরল এবং অনেকটা গা dark ় রঙের হয়ে থাকে।
লাভা: ভূ-পৃষ্ঠে এসে ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পরে লাভা কঠিন হয়ে একটি শিলা বা লাভার স্তর তৈরি করে।
১৪। শিলা কয়প্রকার ও কী কী? প্রত্যেকটির একটি করে বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
উত্তর : - শিলা প্রধানত তিন প্রকার হয়ে থাকে: অগ্নেয় শিলা, পাললিক শিলা, এবং রূপান্তরিত শিলা। প্রতিটির বৈশিষ্ট্য নিম্নরূপ:
(i) অগ্নেয় শিলা (Igneous Rock):
বৈশিষ্ট্য: এটি ম্যাগমা বা লাভা গলিয়ে ঠান্ডা হয়ে কঠিন হয়। এ ধরনের শিলা প্রাথমিক শিলা হিসেবে বিবেচিত হয় এবং সাধারণত শক্ত এবং কঠিন থাকে।
উদাহরণ: ব্যাসল্ট, গ্রানাইট।
(ii) পাললিক শিলা (Sedimentary Rock):
বৈশিষ্ট্য: এটি ধূলিকণা, বালি, বা অন্যান্য শিলা টুকরো একত্রিত হয়ে স্তরবদ্ধভাবে জমে তৈরি হয়। এই শিলা সাধারণত কোমল এবং ছিদ্রযুক্ত হয়।
উদাহরণ: চুনাপাথর, বেলেপাথর।
(iii) রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rock):
বৈশিষ্ট্য: এটি আগ্নেয় বা পাললিক শিলা অতিরিক্ত তাপ, চাপ বা রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে রূপান্তরিত হয়ে নতুন শিলায় পরিণত হয়। এই শিলাগুলি শক্ত এবং সঙ্কুচিত হয়।
উদাহরণ: মার্বেল, শিস্ট।
১৫। মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : - মৃত্তিকা সৃষ্টিতে খনিজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মৃত্তিকা বা মাটি মূলত খনিজ, জৈব উপাদান এবং পানির মিশ্রণে গঠিত। খনিজের প্রভাব মাটির গঠন, গুণমান এবং উর্বরতা নির্ধারণে প্রধান ভূমিকা পালন করে। খনিজগুলি মৃত্তিকার মূল উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং বিভিন্ন প্রকার উপাদান যেমন সিলিকা, আয়রন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি মাটির গঠনকে প্রভাবিত করে। খনিজের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
খনিজের উপস্থিতি: মৃত্তিকায় বিভিন্ন খনিজের উপস্থিতি মাটির গঠন এবং ধরন নির্ধারণ করে। যেমন, সিলিকা বা ক্যালসিয়ামের উপস্থিতি মাটির শক্তি এবং অম্লতার ভারসাম্য ঠিক রাখে।
মাটির পিএইচ নির্ধারণ: খনিজ উপাদান মাটির পিএইচ বা অম্লতা-ক্ষারিতা নির্ধারণে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের গাছপালার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়।
উর্বরতা বৃদ্ধি: খনিজ উপাদান যেমন পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম মাটির উর্বরতা বাড়িয়ে ফসলের জন্য উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করে। এই খনিজগুলি উদ্ভিদের খাদ্য উপাদান হিসেবে কাজ করে।
মাটি সঞ্চয় ক্ষমতা: খনিজ উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম মাটি থেকে পানি ধারণের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা শুকনো মৌসুমে মাটির আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
5. অনধিক 100 টি শব্দে উত্তর দাও : 5
(i) উদাহরণসহ উৎপত্তি অনুসারে আগ্নেয় শিলার শ্রেণিবিভাগ করো।
(ii) যে-কোনো পাঁচটি ক্ষেত্রে তিন ধরনের শিলার ব্যবহার উদাহরণসহ লিপিবদ্ধ করো।
6. শিলা কী? শিলার শ্রেণিবিভাগ করে আলোচনা করো।
শিলা:
শিলা হলো এক বা একাধিক খনিজের সমন্বয়ে গঠিত, দৃঢ় সংবদ্ধ বস্তুরাজি যা ভূত্বক গঠন করে। শিলার গঠনকারী খনিজগুলি এক বা একাধিক অজৈব মৌলিক পদার্থের যৌগ। উদাহরণস্বরূপ, গ্রানাইট শিলা কোয়ার্টজ, ফেল্ডস্পার, মাইকা, এবং হর্নব্লেন্ড খনিজ দ্বারা গঠিত।
শিলার শ্রেণিবিভাগ:
শিলাকে উৎপত্তি ও গঠন অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
১. আগ্নেয় শিলা (Igneous Rock):
অর্থ: আগ্নেয় শিলা শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Igneus (অর্থ: আগুন) থেকে এসেছে।
উৎপত্তি: আগ্নেয় শিলা প্রাচীনতম শিলা, যাকে শিলার জনকও বলা হয়। এটি ম্যাগমা (তরল আদি পদার্থ) থেকে তৈরি হয়, যা পৃথিবীর অভ্যন্তর থেকে উঠে ভূপৃষ্ঠে আসে এবং ঠান্ডা হয়ে কঠিন হয়ে যায়।
উদাহরণ: গ্রানাইট, ব্যাসল্ট
শ্রেণিবিভাগ: আগ্নেয় শিলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়:
নিঃসারি আগ্নেয় শিলা: ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে উঠে তাড়াতাড়ি শিতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে নিঃসারি আগ্নেয় শিলা বলে।
উদ্ভেদী আগ্নেয় শিলা: ভূ-অভ্যন্তরের ম্যাগমা উপরের দিকে উঠতে উঠতে শিলাস্তরের ভিতর প্রবেশ করে ধীরে ধীরে শিতল হয়ে যে শিলা তৈরি হয় তাকে উদ্ভেদী আগ্নেয় শিলা বলে। এই শিলাকে আবার দুই প্রকারে ভাগ করা হয়:
পাতালিক শিলা: ভূপৃষ্ঠ থেকে অনেক গভীরে শিতল হয়ে তৈরি হয়, যেমন গ্রানাইট।
উপপাতালিক শিলা: ভূপৃষ্ঠ থেকে কম গভীরে শিতল হয়ে তৈরি হয়, যেমন ডোলেরাইট।
২. পাললিক শিলা (Sedimentary Rock):
অর্থ: পাললিক শিলা শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Sedimentum (অর্থ: অধঃক্ষেপণ) থেকে এসেছে।
গঠন: প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা ক্ষয় হওয়া পললসমূহ জমে স্তরিত হয়ে চাপের মাধ্যমে শিলা তৈরি হয়।
উদাহরণ: বেলেপাথর, কাদাপাথর
শ্রেণিবিভাগ: পাললিক শিলাকে গঠন অনুসারে তিন ভাগে ভাগ করা হয়:
যান্ত্রিক পাললিক শিলা: যখন প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা শিলার চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে, পরিবাহিত হয়ে অন্য স্থান জমা হয়, তখন তা যান্ত্রিক পাললিক শিলা হিসেবে গঠিত হয়। যেমন, কংগ্লোমারেট, বালুকাময় পাললিক শিলা।
রাসায়নিক পাললিক শিলা: চুনাপাথরযুক্ত অঞ্চলে জল, বাতাস ও রাসায়নিক বিক্রিয়ার ফলে শিলা তৈরি হয়। যেমন, ডলোমাইট, ক্যালসাইট।
জৈব পাললিক শিলা: উদ্ভিদ ও প্রাণীর দেহাবশেষ জমে শিলা তৈরি হয়। যেমন, কয়লা, চুনাপাথর।
৩. রূপান্তরিত শিলা (Metamorphic Rock):
অর্থ: রূপান্তরিত শিলা শব্দটি Metamorphosis (অর্থ: রূপান্তর) থেকে এসেছে। এই শিলা অতীতের আগ্নেয় বা পাললিক শিলা থেকে তৈরি হয়, যখন চাপ ও তাপের কারণে তারা পরিবর্তিত হয়।
উদাহরণ: স্লেট, মার্বেল, শিস্ট, কুইটজাইট
উৎপত্তি: যখন পাললিক বা আগ্নেয় শিলা অত্যধিক তাপ ও চাপের মধ্যে পড়ে, তখন শিলার মৌলিক বৈশিষ্ট্য পরিবর্তিত হয়ে নতুন শিলা তৈরি হয়।
শিলার গঠন প্রক্রিয়া:
নিঃসারি আগ্নেয় শিলা: ম্যাগমা ভূপৃষ্ঠে উঠে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে শিতল হয়।
উদ্ভেদী শিলা: শিলা স্তরের অভ্যন্তরে ম্যাগমা প্রবেশ করে ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে শিতল হয়।
পাললিক শিলা: প্রাকৃতিক শক্তি দ্বারা ক্ষয় পলল সঞ্চিত হয়ে চাপের ফলে শক্ত শিলা তৈরি হয়।
রূপান্তরিত শিলা: চাপ ও তাপের কারণে আগ্নেয় বা পাললিক শিলার রূপান্তর ঘটে নতুন শিলা তৈরি হয়।
Enter Your Comment