দশম শ্রেণি বাংলা তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন। CLASS
10 BENGALI 3RD UNIT TEST SUGGESTION 2025
Class 10 Bengali Test Exam
Suggestion 2024। দশম
শ্রেণীর বাংলা টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন 2024
শ্রেণী
|
দশম
|
বিষয়
|
বাংলা |
পূর্ণমান
|
৯০
|
সময়
|
৩
ঘন্টা
১৫ মিনিট |
Class 10 Bangla Madhyamik Test Exam Question Paper 2024। দশম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের বাংলা প্রশ্নপত্র ২০২৪
Third Summative Evaluation - 2024
Class-X Bengali
Time: 3 Hours 15 Minutes
Full Marks: 90
ক। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করো:
1 x 17 = 17
১. “বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ ধমক দেয়, - খুব হয়েছে হরি, এই বার সরে পড়ো।”
সেদিন হরি সেজেছিল
(ক)
বাইজি
(খ)
পুলিশ
(গ)
বিরাগী
(ঘ)
পাগল।
২. “সে ভিতরে শুধু একটা বই” - বইটি হ'ল
(ক)
রামায়ণ
(খ)
মহাভারত
(গ)
গীতা।
৩. “তা ছাড়া এত বড়ো বন্ধু!” – বন্ধুটি হ'ল
(ক)
রামদাস
(খ)
রেওয়ারি
(গ)
নিমাইবাবু
(ঘ)
ক্রিশ্চান মেয়েটি।
৪. “ভয়ঙ্কর," কীসের মশাল
জ্বেলে আসে?
(ক)
বিদ্যুতের
(খ)
বিদ্বেষের
(গ)
উল্লাসের
(ঘ) বজ্রশিখার।
৫. কিরীটী প্রবেশ নিয়েছিলেন-
(ক)
বীরবাহুর
(খ)
ইন্দ্রের
(গ)
বৃহন্নলার
(ঘ)
বিভীষণের।
৬. “অসুখী একজন” কবিতাটি তরজমা করেছেন-
(ক)
বিজন ভট্টাচার্য
(খ)
সুকান্ত ভট্টাচার্য
(গ)
নবারুন ভট্টাচার্য
(ঘ)
শঙ্খ ঘোষ।
৭. “কুইল” হ'ল-
(ক)
খাগের কলম
(খ)
নিবের কলম
(গ)
পালকের কলম
(ঘ)
কঞ্চির কলম।
৮. “কালির অক্ষর নাইকো পেটে, চণ্ডী পড়েন ...” -
(ক)
বাবুঘাটে
(খ)
রানাঘাটে
(গ)
কালীঘাটে
(ঘ)
কোলাঘাটে।
৯. “শেষপর্যন্ত নিবের কলমের মান মর্যাদা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন” -
(ক)
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়
(খ)
সত্যজিৎ রায়
(গ)
লর্ড কার্জন
(ঘ)
নিখিল সরকার।
১০. “ব্যুৎপত্তি অনুসারে ‘কারক' শব্দটির অর্থ হ'ল –
(ক)
যে করে
(খ)
যে চলে
(গ)
যে বলে
(ঘ)
কোনোটিই নয়।
১১. অনুসর্গ হ'ল –
(ক)
অব্যয় পদ
(খ)
সর্বনাম পদ
(গ)
বিশেষ্য পদ
(ঘ)
বিশেষণ পদ।
১২. বহুব্রীহি সমাসে প্রাধান্য থাকে –
(ক)
পূর্বপদের
(খ)
পরপদের
(গ)
উভয়পদের
(ঘ)
ভিন্নপদের।
১৩. অনুসর্গ প্রধান কারক হ'ল –
(ক)
কর্তৃকারক
(খ)
কর্মকারক
(গ)
করণকারক
(ঘ)
অধিকরণ কারক।
১৪. “অরিন্দম কহিলা বিষাদে”- নিম্নরেখ পদটি –
(ক)
কর্মকারক
(খ)
করণকারক
(গ)
অপাদান কারক
(ঘ)
অধিকরণ কারক।
১৫. উপমান ও উপমেয়র মধ্যে অভেদ কল্পনা করা হয় যে সমাসে তা হ'ল -
(ক)
উপমান কর্মধারয়
(খ)
উপমিত কর্মধারয়
(গ)
রূপক কর্মধারয়
(ঘ)
মধ্যপদলোপী কর্মধারয়।
১৬. “আমি অরিত্রকে সাইকেল দিলাম।” - এই বাক্যের নিম্নরেখ পদ দুটি হল –
(ক)
যথাক্রমে মুখ্য কর্মকারক ও গৌণ কর্মকারক
(খ)
যথাক্রমে গৌণ কর্মকারক ও মুখ্য কর্মকারক
(গ)
দুটিই মুখ্য কর্মকারক
(ঘ)
দুটিই গৌণ কর্মকারক – এর উদাহরণ।
১৭. “চিনছিলে জলস্থল আকাশের দুর্বোধ সংকেত” - নিম্নরেখ পদটি কোন সমাসের উদাহরণ?-
(ক)
কর্মধারয়
(খ)
দ্বন্দ্ব
(গ)
দ্বিগু
(ঘ)
তৎপুরুষ।
২। কমবেশি ২০টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : 1 x 19 = 19
২.১ যে কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 1 x 4 = 4
২.১.১ “মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা।” – উপযুক্ত কাজটি কী?
২.১.২ পুলিশ গেছে হরিদা কী করেছিল?
২.১.৩ গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁক ও পকেট থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল?
২.১.৪ ‘অদৃষ্ট কখনও হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না?” – কোন ভুলের কথা বলা হয়েছে?
২.১.৫ ‘সে ভয়ানক দুর্লভ জিনিস।’ - দুর্লভ জিনিসটি কী?
২.২ যে কোনো চারটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
1 x 4 = 4
২.২.১ “হায় ছায়াবৃতা” – কাকে, কেন ‘ছায়াবৃতা’ বলা হয়েছে?
২.২.২ “দেহ আজ্ঞা মোরে” – কে, কীসের আজ্ঞা চেয়েছে?
২.২.৩ “ওরে ওই হাসছে ভয়ংকর!” – কেন?
২.২.৪ ‘ছিনিয়ে নিয়ে গেল তোমাকে,’ - কে,
কাকে, কোথা থেকে ছিনিয়ে নিয়ে গেল?
২.২.৫ ‘তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।’ - কারা কেন স্বপ্ন দেখতে পারল না?
২.৩ যে কোনো তিনটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 1
x 3 = 3
২.৩.১ অন্নদাশঙ্কর রায় ছাড়া আর কোন কবি টাইপ রাইটারে লিখতেন?
২.৩.২ “সেই আঘাতের পরিণতি নাকি তাঁর মৃত্যু।” – কোন আঘাতের পরিণতির কথা বলা হয়েছে?
২.৩.৩ গ্রামে কেউ দু-একটা পাশ দিতে পারলে, বুড়ো-বুড়িরা আশীর্বাদ করে কী বলতেন?
২.৩.৪ 'সেই
আমার কলম।' বক্তা কোন জা8তীয় কলমের কথা বলেছেন?
২.৪ যে কোনো আটটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 1 x 8 = 8
২.৪.১ প্রযোজ্য কর্তা কাকে বলে?
২.৪.২ অনুসর্গের অপর নাম কী?
২.৪.৩ 'অস্ত্র রাখো গানের দুটি পায়ে' – নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
২.৪.৪ তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?
২.৪.৫ একটি বাক্যশ্রয়ী সমাসের উদাহরণ দাও।
২.৪.৬ নিরপেক্ষ কর্তা কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
২.৪.৭ নতুন সৃষ্টিকে বারবার বিধ্বস্ত করছিলেন - নিম্নরেখ পদটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো।
Read More : - West Bengal Board Class 10 English Third Summative Question Answer। Madhyamik Test English Question Answer 2025
২.৪.৮ ‘তৎপুরুষ’ শব্দের সাধারণ অর্থ কী?
২.৪.৯ সমধাতুজ কর্ম বলতে কী বোঝ?
২.৪.১০ বাজিয়ে রণবাজনা - রেখাঙ্কিত পদটির ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় করো।
৩। প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি ৬০টি শব্দে উত্তর দাও :
৩.১ যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 3
x 1 = 3
৩.১.১ “বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো।” - কে, কাকে বলেছেন? ‘বুড়ো মানুষের কথাটা’ কী ছিল?
৩.১.২ ‘গল্প শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা।’ - কোন গল্প? হরিদা গম্ভীর হয়ে গেলেন কেন?
৩.২ যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : 3
x 1 = 3
৩.২.১ “তোরা সব জয়ধ্বনি কর।” - তোরা কারা? তাদের ‘জয়ধ্বনি' করতে বলা হয়েছে কেন?
৩.২.২ ‘হা ধিক্ মোরে!’ - বক্তা কে, তিনি নিজেকে ধিক্কার দিয়েছেন কেন?
৪। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫
৪.১ ‘পথের দাবী” পাঠ্যাংশ অবলম্বনে ‘অপূর্ব” চরিত্রটি পর্যালোচনা করো।
৪.২ “নতুন মেসোকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের।” - কীভাবে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে গিয়েছিল, পাঠ্য গল্প অবলম্বনে তার পরিচয় দাও।
৫। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫
৫.১ “আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়।” - ওই মেয়েটির মধ্য দিয়ে কবি শাশ্বত ভালোবাসার যে রূ 'এলযোল্লাস' কবিতা।
৫.২ ‘প্রলয়োল্লাস' কবিতার প্রলয় কীভাবে উল্লাসের কারণ হয়ে উঠেছে, তার বিবরণ দাও।
৬। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫
৬.১ কলমকে কেন তলোয়ারের চেয়েও শক্তিধর বলা হয় প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কারণ ব্যাখ্যা করো।
৬.২ প্রাবন্ধিকের কালী কলমের প্রতি ভালোবাসা, 'হারিয়ে যাওয়া কালী কলম' প্রবন্ধে কীভাবে ফুটে
উঠেছে, তা আলোচনা করো।
৭। কমবেশি ১২৫ শব্দে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৪
৭.১ “তোমাদের কাছে আমি লজ্জিত।” - বক্তা কে? তার লজ্জা পাওয়ার কারণ পর্যালোচনা করো।
৭.২ 'জানি
না, আজ কার রক্ত সে চায়।'- বক্তা কে?
এখানে বক্তার চরিত্রের যে পরিচয় পাওয়া যায় তা লেখো।
৮। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ২ x ৫ = ১০
৮.১ বারুণীর দিনে গঙ্গার ঘাটের দৃশ্যের বর্ণনা করো।
৮.২ দারিদ্র্য আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে কোনির জীবন সংগ্রামের পরিচয় দাও।
৮.৩ 'কোনি'
উপন্যাস অবলম্বনে সাঁতার প্রশিক্ষক ক্ষিতীশ সিংহের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পর্যালোচনা করো।
৯। চলিত গদ্যে বঙ্গানুবাদ করো : ৪
“Honesty is a
great virtue. If you do not deceive others, if you are strictly just and fair
in your dealings with others, you are an honest man. Honesty is the best
policy. No one can prosper in life if he is not honest.”
১০। কমবেশি ১৫০ শব্দে যে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫
১০.১ প্লাস্টিক ব্যবহার বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ রচনা করো।
১০.২ তোমার এলাকায় অনুষ্ঠিত রক্তদান শিবির - এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন রচনা করো।
১১। কমবেশি ৪০০ শব্দে যে কোনো একটি বিষয়ে অবলম্বনে রচনা লেখো : ১০
১১.১ একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা ।
১১.২ বাংলার উৎসব।
১১.৩ মানবসভ্যতার অগ্রগতিতে বিজ্ঞানের অবদান।
১১.৪ ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ক্লাস 10 বাংলা প্রশ্ন উত্তর 2024। Madhyamik Bangla 3rd Unit Test Question Paper 2024 with Answer Term
৯। চলিত গদ্যে বঙ্গানুবাদ করো :
"সততা
একটি মহৎ গুণ। যদি তুমি অন্যকে প্রতারণা না করো, যদি তোমার কাজকর্মে সবসময় ন্যায়পরায়ণ ও সুবিচার হও, তাহলে তুমি একজন সৎ মানুষ। সততাই সর্বোত্তম নীতি। কেউ জীবনে সফল হতে পারে না যদি সে সৎ না হয়।"
১০.১ প্লাস্টিক ব্যবহার বিষয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে কাল্পনিক সংলাপ
রিমি: হাই, মিনা! আজকাল প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে, তুমি কি শুনেছ?
মিনা: হ্যাঁ, রিমি! প্লাস্টিকের ব্যবহার এখন পরিবেশের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্লাস্টিক ভেঙে যেতে হাজার হাজার বছর সময় লাগে।
রিমি: ঠিক বলেছ। আর আমরা প্রতিদিন কত প্লাস্টিক ব্যবহার করি! প্লাস্টিক ব্যাগ, বোতল, প্যাকেট—সবকিছুতেই প্লাস্টিক!
মিনা: সত্যিই, এগুলোকে আমরা প্রায় প্রতিদিন ব্যবহার করি, কিন্তু এগুলোর প্রভাব সম্পর্কে খুব কমই ভাবি। প্লাস্টিক নষ্ট হতে না পারার জন্য মাটি আর জলও দূষিত হচ্ছে।
রিমি: হুম, এ জন্যই এখন অনেকেই প্লাস্টিকের বদলে কাপড় বা জুটের ব্যাগ ব্যবহার করছে। এটা অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব।
মিনা: হ্যাঁ, আর এটা শুধু পরিবেশ রক্ষার জন্য নয়, আমাদের ভবিষ্যতের জন্যও দরকার। আমরা যদি এখন থেকে প্লাস্টিক কম ব্যবহার না করি, তাহলে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য পৃথিবী বাঁচবে কীভাবে?
রিমি: একদম ঠিক! তাই আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি প্লাস্টিকের ব্যবহার যতটা সম্ভব কমাবো।
মিনা: হ্যাঁ, অবশ্যই! আমরা একসঙ্গে পরিবেশ রক্ষা করতে পারি।
১০.২ তোমার এলাকায় অনুষ্ঠিত রক্তদান শিবির - এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন
প্রতিবেদন: রক্তদান শিবিরে এলাকার মানুষের উজ্জ্বল উপস্থিতি
গত ১৫ই অক্টোবর, আমার এলাকায় স্থানীয় যুব সংঘের উদ্যোগে একটি রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। শিবিরটি সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। এলাকার মানুষজন এতে অত্যন্ত উৎসাহিতভাবে অংশগ্রহণ করেন।
শিবিরের মূল লক্ষ্য ছিল ব্লাড ব্যাংকের জন্য পর্যাপ্ত রক্ত সংগ্রহ করা এবং রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক, যিনি রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, "প্রত্যেক সুস্থ মানুষের উচিত বছরে অন্তত একবার রক্তদান করা, কারণ এটি জীবন বাঁচাতে সহায়ক।"
শিবিরে ৭৫ জনেরও বেশি মানুষ রক্তদান করেন। এলাকার তরুণ-তরুণীরা এই উদ্যোগে বিশেষভাবে সক্রিয় ছিল। বিশেষ করে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল নজরকাড়া। রক্তদাতাদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ফল ও জুসের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
এই রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে এলাকার মানুষ একদিকে যেমন সামাজিক দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনই অন্যদিকে মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
১১.১ একটি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা: পুরী ভ্রমণ
ভূমিকা:
মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সুদূরের পিয়াসী। আমরা প্রতিনিয়ত নতুন নতুন জায়গা ঘুরতে ভালোবাসি। ঊষর মরু পেরিয়ে, বেলাভূমির ঢেউয়ের গর্জন শুনতে, কিংবা পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে মানুষ বরাবরই উৎসাহী। আমিও ছোটবেলা থেকেই বেড়াতে ভালোবাসি, তবে সমুদ্রের কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ আমার হয়নি। বহুবার সমুদ্র দর্শনের গল্প শুনেছি, টিভিতে দেখেছি, কিন্তু নিজের চোখে দেখা হয়ে ওঠেনি। হঠাৎ বাবা বললেন, “এবার পুজোর ছুটিতে আমরা পুরী যাচ্ছি।” আনন্দে মন নেচে উঠল, কারণ পুরী মানেই সমুদ্র।
যাত্রা শুরু:
অক্টোবরের ২৩ তারিখ আমরা পুরী এক্সপ্রেসে হাওড়া থেকে রওনা দিলাম। রাতের ট্রেনে যাত্রা শুরু হলো, কিন্তু উত্তেজনায় ঘুম চোখে এল না। সকালবেলায় জানালার ধারে বসে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে মনে হচ্ছিল, কত দ্রুত পুরী পৌঁছে যাব। সকাল ন’টার মধ্যেই আমরা পৌঁছে গেলাম পুরী।
প্রথম সমুদ্র দর্শন:
হোটেলে পৌঁছে অল্প বিশ্রামের পর আমরা সমুদ্রের তীরে পৌঁছালাম। সমুদ্রের গর্জন কানে আসতেই মনের ভেতর উত্তেজনা বেড়ে গেল। হঠাৎ চোখের সামনে ভেসে উঠল সেই অবারিত নীল সমুদ্র। ঢেউয়ের গর্জন, অগাধ জলরাশি আর সমুদ্রের বিস্তৃতি দেখে আমি অভিভূত হলাম। এমন নৈসর্গিক দৃশ্য আমি আগে কখনও দেখিনি।
পুরীর সমুদ্রতীরে:
সমুদ্রতীরে নামতেই দেখি ভিড় লেগে আছে। কেউ বালিতে বসে আছে, কেউ ঝিনুক খুঁজছে, আবার কেউ ছবি তুলছে। আমিও মুগ্ধ বিস্ময়ে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে থাকলাম। ঢেউয়ের জল এসে আমার পা ভিজিয়ে দিল। আমি সেই মুহূর্তে অনুভব করলাম প্রকৃতির বিশালতা। সমুদ্রে স্নান করার পর মনে হল যেন দেহ-মন পূর্ণ তৃপ্তিতে ভরে গেছে। বিকেলে আবার সমুদ্রের ধারে গিয়ে বসে থাকলাম। রাতের সমুদ্রও অপূর্ব সৌন্দর্য মেলে ধরে।
অন্যান্য দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন:
পরের দিন আমরা ধবলগিরি, উদয়গিরি, খণ্ডগিরি, এবং কোনারকের সূর্যমন্দির পরিদর্শন করলাম। কোনারকের সূর্যমন্দির দেখার পর মনে হল ইতিহাস যেন কথা বলছে। সেই সূর্যমন্দিরের শিল্পকর্ম সত্যিই অবিশ্বাস্য সুন্দর। এরপর আমরা নন্দনকানন চিড়িয়াখানা এবং অন্যান্য পর্যটনস্থল ঘুরে দেখলাম।
বিদায়ের আগের দিন:
শেষ দিন সকালে সূর্যোদয় দেখলাম। সমুদ্রের দিগন্ত থেকে ধীরে ধীরে লাল আভা নিয়ে সূর্য ওঠার দৃশ্য ছিল অসাধারণ। বিকেলে জগন্নাথ মন্দিরে গেলাম, জগন্নাথদেবের দর্শন করে মনের মধ্যে এক অদ্ভুত শান্তি পেলাম।
উপসংহার:
ভ্রমণ শেষ হওয়ার আগে অনেক স্মৃতি সঞ্চয় করলাম। সমুদ্রের বিশালতা, পুরীর ঐতিহ্য আর পুরনো মন্দিরের ইতিহাস আমার মনে গভীর ছাপ রেখে গেল।
১১.২ বাংলার উৎসব
মানবজীবনের একটি অপরিহার্য অঙ্গ হল উৎসব। মানুষ শুধুমাত্র খেয়ে-পরে বেঁচে থাকায় সন্তুষ্ট হয় না; সে অনেকের সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে দিতে চায়, দৈনন্দিন জীবনের একঘেয়েমি থেকে মুক্তি চায় এবং শ্রমক্লান্ত জীবনে সহজ অনাবিল আনন্দ খুঁজে পায়। উৎসব মানুষকে সেই আনন্দ দেয় এবং তার অস্তিত্বকে প্রসারিত করে। বাংলার উৎসবসমূহ তার জীবনে বিশাল গুরুত্ব বহন করে।
ধর্মীয় উৎসব
বাংলায় বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করে এবং তারা সকলেই নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করে। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব হলো দুর্গাপূজা। শরৎকালে দেবী দুর্গার আরাধনাকে কেন্দ্র করে বাঙালির জীবন আনন্দমুখর হয়ে ওঠে। এছাড়া কালীপুজো, সরস্বতীপুজো, লক্ষ্মীপুজো, বিশ্বকর্মাপুজো প্রভৃতিও উল্লেখযোগ্য। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য মহরম, ঈদ, শবেবরাত বিশেষ উৎসব। খ্রিস্টান সম্প্রদায় বড়দিন, গুড ফ্রাইডে, ইস্টার স্যাটারডে পালন করে। এই ধর্মীয় উৎসবগুলো বাঙালির জীবনে অচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে আছে।
ঋতু-উৎসব
বাংলায় ঋতুভিত্তিক উৎসবও গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে নবান্ন, পৌষ পার্বণ, বসন্ত উৎসব, বর্ষা মঙ্গল অন্যতম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ উৎসব, বর্ষা মঙ্গল ও বসন্ত উৎসব পালিত হয়, যা এখন বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে জনপ্রিয়। বাংলার ঋতু-উৎসবগুলো প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের গভীর সম্পর্কের পরিচয় বহন করে।
জাতীয় উৎসব
বাংলায় জাতীয় উৎসবগুলোও উদযাপিত হয় বিশেষ আড়ম্বরে। স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস, নেতাজীজয়ন্তী, রবীন্দ্রজয়ন্তী, নজরুলজয়ন্তী প্রভৃতি জাতীয় উৎসব বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রতীক। এই উৎসবগুলোতে দেশপ্রেম ও ঐতিহ্যের মহিমা তুলে ধরা হয়।
সামাজিক-পারিবারিক উৎসব
বাঙালির সমাজ জীবনে বিবাহ, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন, উপনয়ন, ভ্রাতৃদ্বিতীয়া, জামাইষষ্ঠীর মতো অনুষ্ঠানগুলোও উৎসব হিসেবে পালিত হয়। এসব অনুষ্ঠান কেবল পরিবারকেন্দ্রিক নয়, বরং সমাজের সকল স্তরের মানুষ এতে মিলিত হয়, যা সামাজিক বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে।
উপসংহার
বাঙালি উৎসবপ্রিয় জাতি। "বারো মাসে তেরো পার্বণ" কথাটি বাঙালির জীবনকে পুরোপুরি তুলে ধরে। উৎসবগুলোর মাধ্যমে বাঙালি একে অপরের সঙ্গে মিলিত হয়, জীবনকে আনন্দময় করে তোলে, এবং সংকীর্ণ গণ্ডি থেকে বেরিয়ে এসে বৃহত্তর সমাজের অংশ হয়ে ওঠে। এইসব উৎসবই বাঙালির জীবনে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা।
১১.৩ প্রাত্যহিক জীবনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিজ্ঞান: আধুনিক মানবসভ্যতার আশীর্বাদ
ভূমিকা:
বিজ্ঞান আধুনিক মানবসভ্যতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শক্তি, যা আমাদের জীবনধারাকে সম্পূর্ণ বদলে দিয়েছে। আজকের বিশ্বে বিজ্ঞানের প্রভাব ছাড়া জীবন কল্পনাও করা যায় না। স্যার চার্লস পার্সি স্নো বলেছেন, “Innocence about science is the world
crime today,” অর্থাৎ বিজ্ঞানের বিষয়ে অজ্ঞ থাকা এখন এক বড় অপরাধ। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে আমাদের জীবন আজ অনেক সহজ, আরামদায়ক এবং গতিশীল হয়েছে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অবদান:
বিজ্ঞান মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে। একসময় মানুষ প্রকৃতির করুণায় নির্ভরশীল ছিল, এখন বিজ্ঞান তাকে সেই দুর্বলতা থেকে মুক্তি দিয়েছে। কৃষি, শিল্প, চিকিৎসা, শিক্ষা, যোগাযোগ এবং পরিবহণ— প্রতিটি ক্ষেত্রেই বিজ্ঞানের অবদান অপরিসীম।
চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞান:
বিজ্ঞান চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিরাট বিপ্লব এনেছে। একসময় সাধারণ অসুখের জন্য মানুষ দৈব নির্ভরতা বা কুসংস্কারে বিশ্বাস করত। আজকের দিনে রোগ নির্ণয়ের আধুনিক প্রযুক্তি, যেমন এমআরআই, এক্স-রে, আলট্রাসোনোগ্রাম ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ হয়েছে। আধুনিক ঔষধ এবং চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্যে প্রাণরক্ষা এখন অনেকাংশে সম্ভব হয়েছে। ক্যান্সার, হৃদরোগের মতো জটিল রোগেরও এখন চিকিৎসা সম্ভব, যা বিজ্ঞানের অবদান।
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞান:
কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান অসীম। উন্নত বীজ, সার এবং কীটনাশক ব্যবহার করে ফসলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। সেচ ব্যবস্থা এবং যান্ত্রিক চাষের মাধ্যমে কৃষিকাজ এখন অনেক সহজ হয়েছে। বিজ্ঞান কৃষকদের হাতে উন্নত প্রযুক্তি এনে দিয়েছে, যার ফলে খাদ্য উৎপাদনের ক্ষমতা বহুগুণ বেড়ে গেছে। গ্রিন রেভোলিউশন বা সবুজ বিপ্লবের মাধ্যমেই আমরা খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে পেরেছি।
শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞান:
শিল্পক্ষেত্রে বিজ্ঞানের প্রভাব বিপুল। কারখানাগুলোতে বিজ্ঞানের অবদান যেমন বিদ্যুৎ, মেশিন, রোবটিক্স, ইত্যাদির ব্যবহার শিল্প উৎপাদনকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলেছে। উৎপাদন খরচ কমিয়ে এবং সময় বাঁচিয়ে বিজ্ঞান আজ শিল্পকে এক নতুন দিগন্তে নিয়ে গেছে। অটোমেশন এবং প্রযুক্তির উন্নয়ন শিল্পখাতকে কার্যকরী এবং দক্ষ করেছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান:
শিক্ষাক্ষেত্রে বিজ্ঞান এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ডিজিটাল শিক্ষা, অনলাইন কোর্স, ই-বুক, প্রজেক্টর, এবং কম্পিউটার আজ শিক্ষার ক্ষেত্রে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বের যেকোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষার সুযোগ পাওয়া সম্ভব। দূরশিক্ষার সুবিধা এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুম আজ শিক্ষার মানকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
যাতায়াত ব্যবস্থায় বিজ্ঞান:
পরিবহণ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদানও কম নয়। একসময় মানুষের যাতায়াত হতো গরুর গাড়ি বা নৌকার মাধ্যমে, কিন্তু আজকের দিনে বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ফলে প্লেন, ট্রেন, গাড়ি, এবং জাহাজের মাধ্যমে মানুষ দ্রুতগতিতে স্থানান্তর করতে সক্ষম। বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফলে যাত্রা এখন অনেক সহজ, দ্রুত এবং আরামদায়ক হয়েছে। নতুন নতুন যানবাহন যেমন ইলেকট্রিক কার, বুলেট ট্রেন ইত্যাদি পরিবহণ ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে।
অন্যান্য অবদান:
বিজ্ঞান যোগাযোগ ক্ষেত্রে মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষকে একত্রিত করেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মোবাইল, কম্পিউটার, টিভি, ইন্টারনেট ইত্যাদির ব্যবহার বিজ্ঞান ছাড়া সম্ভব নয়। বিজ্ঞান মানুষকে বিশ্ব নাগরিক করে তুলেছে এবং বিশ্বকে করেছে একত্রিত।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপব্যবহার:
বিজ্ঞান যতই আশীর্বাদ হয়ে উঠুক, এর অপব্যবহার সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পারমাণবিক অস্ত্র, দূষণ, এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার বিজ্ঞানকে অভিশাপে পরিণত করতে পারে। সেজন্য বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তিকে শুধুমাত্র মানব কল্যাণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা উচিত।
উপসংহার:
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আধুনিক জীবনের অপরিহার্য অংশ। আমাদের উচিত বিজ্ঞানমনস্ক হয়ে এর সঠিক প্রয়োগ করা, যাতে এটি সবসময় মানবতার কল্যাণে ব্যবহৃত হয়। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা এক উন্নত ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।
১১.৪ ছাত্রছাত্রীদের সামাজিক দায়িত্ব
ভূমিকা:
সমাজ একটি সংঘবদ্ধ ব্যবস্থা, যেখানে মানুষ তার মনুষ্যত্বের বিকাশ ঘটায়। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, "মানুষ জন্মায় জন্তু হয়ে, কিন্তু এই সংঘবদ্ধ ব্যবস্থার মধ্যে অনেক দুঃখ করে সে মানুষ হয়ে ওঠে।" সমাজের উন্নয়ন এবং কল্যাণের জন্য প্রত্যেক মানুষের কিছু না কিছু দায়িত্ব থাকে। ছাত্রছাত্রীরাও এর ব্যতিক্রম নয়। যদিও ছাত্রছাত্রীদের প্রধান কাজ হল অধ্যয়ন, তবুও সমাজের প্রতি তাদের কিছু গুরুতর দায়িত্ব রয়েছে।
নিরক্ষরতা দূরীকরণে ভূমিকা:
আমাদের দেশে এখনও অনেক মানুষ নিরক্ষর, যা একটি সামাজিক অভিশাপ। ছাত্রসমাজ এই নিরক্ষরতার অভিশাপ দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে। বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রে যোগদান করে বা ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে ছাত্রছাত্রীরা সমাজের নিরক্ষর মানুষদের সাক্ষর করতে পারে। এতে করে সমাজের অগ্রগতির পথ সুগম হবে।
প্রথা ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে:
সমাজে এখনও কুসংস্কার এবং প্রথার বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের লড়াই করতে হবে। মানুষের অজ্ঞতা এবং প্রথার প্রতি অন্ধ বিশ্বাসের কারণে সমাজে এখনও ভণ্ড সাধু, তুকতাক এবং তাবিজের প্রচলন রয়েছে। পণপ্রথা, যা এখনও অনেক পরিবারে চলমান, এর বিরুদ্ধেও ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের শিক্ষার মাধ্যমে সমাজের এই কুপ্রথাগুলোকে সমূলে উৎপাটিত করা সম্ভব।
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায়:
স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রেও ছাত্রছাত্রীদের দায়িত্ব রয়েছে। অনেক গ্রাম এবং শহরে পরিবেশ অপরিচ্ছন্ন থাকে, যার কারণে রোগ-জীবাণু ছড়ায়। ছাত্রছাত্রীরা পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার উদ্যোগ নিতে পারে এবং স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে পারে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধের প্রচেষ্টা চলছে, তাতে ছাত্রছাত্রীদের সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা উচিত।
ত্রাণকাজে ভূমিকা:
বন্যা, ভূমিকম্প, খরা, অগ্নিকাণ্ড প্রভৃতিতে ছাত্রছাত্রীরা ত্রাণকাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তারা দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দিতে পারে। তাদের সতেজতা এবং সেবামূলক মনোভাবই সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে।
প্রতিবাদে ও জাতীয় সংহতি রক্ষায়:
ছাত্রছাত্রীরা সামাজিক অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে। তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে এবং জাতীয় সংহতি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সংকীর্ণ সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজই পারে সমাজকে একত্রিত করে জাতীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে।
উপসংহার:
ছাত্রশক্তি সমাজের একটি বৃহৎ শক্তি। যদি এই শক্তিকে বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজে ব্যবহৃত করা হয়, তবে সমাজের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। ছাত্রছাত্রীরা সমাজের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালন করলে একদিন আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে।
Frequently Asked Questions
Q) শূন্য বিভক্তি কাকে বলে ?
Ans: - যেসকল বিভক্তি শব্দের পরে বসে তাদের নামপদে পরিণত করে এবং নিজে অপ্রকাশিত থাকে তাদের বলে ‘শূন্য’ বিভক্তি।
Q) ‘বহুব্রীহি‘ শব্দটির অর্থ কী ?
Ans: - ‘বহুব্রীহি যার‘ অর্থাৎ অনেক ধান আছে যার।
Q) সমাস কথার অর্থ কি ?
Ans: - সংক্ষেপ, সমর্থন, সংগ্রহ, মিলন।
Q) বিভক্তি কথার অর্থ কি ?
Ans: - অংশ, বিভাজন করা।
Q) সমাস কাকে বলে ?
Ans: - পারস্পরিক অর্থগত সম্পর্ক রয়েছে এমন দুই বা ততোধিক পদের একপদী করণকেই সমাস বলে।
Enter Your Comment