WBBSE Class 8 History 3rd Unit Question Answer 2024 | তৃতীয় পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়ন Class 8 History Question Paper
Class 8 History Third Summative Evaluation Question Answer Unit Test । ক্লাস 8 এর ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর
শ্রেণী |
অষ্টম |
বিষয় |
ইতিহাস |
পূর্ণমান |
70 |
সময় |
2 ঘন্টা 30 মিনিট |
অষ্টম শ্রেণী ইতিহাস সাজেশন ২০২৪। Wbbse Class 8 History Third Unit Test Question Paper 2024
Third Summative Evaluation - 2022
Class-VIII History
Time: 2 Hours 30 Minutes
Full Marks: 70
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে বাক্য সম্পূর্ণ করে লেখো : ১×৮ = ৮
(ক) অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রয়োগ করেন — (লর্ড ওয়েলেসলি/ লর্ড কার্জন/ ডালহৌসি)।
(খ) মির
কামার উদ্দিন খান সিদ্দিকিকে 'চিন
কুলিচ খান' উপাধি দেন — (ফারুখশিয়র/ মহম্মদ শাহ্/ ঔরঙ্গজেব)।
(গ) ইংরেজি — (১৭৭২/ ১৭৭০/ ১৭৭৬) খ্রিস্টাব্দে বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল তাকে 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বলে।
(ঘ) সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন — (লর্ড বেন্টিঙ্ক/ লর্ড আরউইন/ হগ ক্যামেরন)।
(ঙ) নীলদর্পণ নাটকের রচয়িতা — (হরিশচন্দ্র/ দীনবন্ধু মিত্র/ ভৈরব)।
(চ) (লর্ড
ক্যানিং/ রাওলাট/ মাইকেল ও’ডায়ার)-এর নেতৃত্বে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
(ছ) কৃষক
প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন — (এ. কে ফজলুল হক/ মহম্মদ আলি জিন্নাহ্/ সিকন্দর হায়াৎ খান)।
(জ) (২০০৪/
২০০৫/ ২০০৬) সালের মে মাসে সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা স্থাপনের কথা ঘোষিত হয়।
২। নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলি যাচাই করে সত্য/মিথ্যা নির্ণয় করো : ১×৭=৭
(ক) ‘আলিনগরের সন্ধি' নবাব সিরাজের হারিয়ে যাওয়া সম্মান উদ্ধার করেছিল।
(খ) ১৯১৯
খ্রিস্টাব্দ থেকে গান্ধিজী ছিলেন ভারতের ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের প্রধানতম নেতৃত্ব।
(গ) লাহোর চুক্তি (১৮৪৬ খ্রি.) অনুযায়ী জলন্ধর দোয়াবে ব্রিটিশ কোম্পানির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
(ঘ) ১৭৫৭
খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত সিপাহি বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা হয়।
(ঙ) ১৯৪৪
খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার অটুট ছিল।
(চ) র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা'র তীব্র বিরোধিতা করেন।
(ছ) ১৭৮২
খ্রিস্টাব্দে ‘সলবাইয়ের চুক্তি' ব্রিটিশ কোম্পানি ও মারাঠাদের মধ্যে হয়েছিল।
৩। ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো : ১ x
৪ = ৪
ক-
স্তম্ভ |
খ-
স্তম্ভ |
(ক)
টিপু
সুলতান |
(অ)
আর্যসমাজ |
(খ)
স্বামী
দয়ানন্দ
সরস্বতী |
(আ)
শান্তিনিকেতন |
(গ)
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর |
(ই)
হিন্দস্বরাজ |
(ঘ)
মোহনদাস
করমচাঁদ
গান্ধি
|
(ঈ)
শ্রীরঙ্গপত্তম |
|
(উ)
স্বরাজবন্দনা |
৪। বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো : ১×২=২
(ক) বিনয় বসু, গণেশ ঘোষ, বাদল গুপ্ত, দীনেশ গুপ্ত।
(খ) বাহাদুর শাহ জাফর, নানাসাহেব, তিতুমির, মঙ্গল পাণ্ডে।
৫। দু-একটি শব্দে উত্তর দাও (যে-কোনো আটটি) : ১×৮=৮
(ক) 'সত্যশোধক সমাজ' কে প্রতিষ্ঠা করেন?
(খ) সিধু
ও কানহু কোন্ বিদ্রোহে নেতৃত্ব দান করেন?
(গ) কত
খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন?
(ঘ) কোন
গান্ধিবাদী সংগ্রামী নেতা ‘সীমান্ত গান্ধি' নামে পরিচিত?
(ঙ) ১৯০৫
খ্রিস্টাব্দে বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা কে করেছিলেন?
(চ) কার
নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন করা হয়?
(ছ) ১৯৪৬
খ্রিস্টাব্দের 'নৌবিদ্রোহ'
কোন জাহাজ থেকে আরম্ভ হয়েছিল?
(জ) ১৯৪০
খ্রিস্টাব্দের মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে সভাপতি কে ছিলেন?
(ঝ) পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
৬। দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও (যে-কোনো আটটি) : ২×৮ =১৬
(ক) ‘ফরাজী আন্দোলন' কী?
(খ) 'অন্ধকূপ হত্যা' বলতে কী বোঝো?
(গ) ‘অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ' কী?
(ঘ) ‘বীরেশলিঙ্গম পাণ্ডুলু' ইতিহাসে স্মরণীয় কেন?
(ঙ) 'পলাশির লুণ্ঠন' কাকে বলে?
(চ) 'স্বত্ববিলোপ নীতি' কী?
(ছ) জাতীয় কংগ্রেসের 'সুরাট অধিবেশন' (১৯০৭ খ্রি.) ব্যর্থ হওয়ার কারণ কী?
(জ) 'মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার' বলতে কী বোঝো?
(ঝ) 'সার্বভৌম' বলতে কী বোঝায়?
৭। সংক্ষেপে (৩০-৪০টি শব্দে) উত্তর দাও (যে-কোনো পাঁচটি) : ৩×৫ =১৫
(ক) কে, কীভাবে, কবে
হায়দরাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
(খ) 'ফারুখশিয়রের ফরমান সম্পর্কে টীকা লেখো।
(গ) নারীশিক্ষা প্রসারে 'বিদ্যাসাগর'-এর
ভূমিকা উল্লেখ করো।
(ঘ) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কোন্ কোন্ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন?
(ঙ) 'দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা' বলতে কী বোঝো?
(চ) 'ইলবার্ট বিল বিতর্ক' কী?
(ছ) ঔপনিবেশিক সমাজে কাদের 'মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক' বলা হতো?
৮। বিশদে (১২০–১৬০টি শব্দে) উত্তর দাও (যে-কোনো দুটি) : ৫x২=১০
(ক) কৃষকদের অধিকার রক্ষায় তেভাগা ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের বিবরণ দাও।
(খ) স্যার সৈয়দ আহমদ খান কীভাবে মুসলমান সমাজকে আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তা বিশ্লেষণ করো।
(গ) ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভূমিকা বিবৃত করো।
(ঘ) বিপ্লববাদী আন্দোলনের পটভূমিকা এবং ফলাফল বিচার করো।
Answers Section
অষ্টম শ্রেণীর তৃতীয় ইউনিট টেস্টের ইতিহাস বিষয়ের প্রশ্নপত্র ও উত্তর : -
১। সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে বাক্য সম্পূর্ণ করে লেখো : ১×৮ = ৮
(ক)
অধীনতামূলক মিত্রতা নীতি প্রয়োগ করেন — লর্ড ওয়েলেসলি।
(খ)
মির কামার উদ্দিন খান সিদ্দিকিকে 'চিন
কুলিচ খান' উপাধি দেন — মহম্মদ শাহ্।
(গ)
ইংরেজি — ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলায় যে দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল তাকে 'ছিয়াত্তরের মন্বন্তর' বলে।
(ঘ)
সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন — লর্ড বেন্টিঙ্ক।
(ঙ)
নীলদর্পণ নাটকের রচয়িতা — দীনবন্ধু মিত্র।
(চ)
মাইকেল ও’ডায়ার-এর নেতৃত্বে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
(ছ)
কৃষক প্রজা পার্টির নেতা ছিলেন — এ. কে ফজলুল হক।
(জ)
২০০৬ সালের মে মাসে সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা স্থাপনের কথা ঘোষিত হয়।
২। নিম্নলিখিত বিবৃতিগুলি যাচাই করে সত্য/মিথ্যা নির্ণয় করো : ১×৭=৭
(ক)
‘আলিনগরের সন্ধি' নবাব সিরাজের হারিয়ে যাওয়া সম্মান উদ্ধার করেছিল।
সত্য।
(খ)
১৯১৯ খ্রিস্টাব্দ থেকে গান্ধিজী ছিলেন ভারতের ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের প্রধানতম নেতৃত্ব।
সত্য।
(গ)
লাহোর চুক্তি (১৮৪৬ খ্রি.) অনুযায়ী জলন্ধর দোয়াবে ব্রিটিশ কোম্পানির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়েছিল।
সত্য।
(ঘ)
১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে সংঘটিত সিপাহি বিদ্রোহকে জাতীয় বিদ্রোহ বলা হয়।
মিথ্যা। (এটি
১৮৫৭ সালে সংঘটিত হয়।)
(ঙ)
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার অটুট ছিল।
মিথ্যা। (এটি
১৯৪৩ সালে ভেঙে যায়।)
(চ)
র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা'র তীব্র বিরোধিতা করেন।
মিথ্যা। (তিনি
সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা সমর্থন করেছিলেন।)
(ছ)
১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে ‘সলবাইয়ের চুক্তি' ব্রিটিশ কোম্পানি ও মারাঠাদের মধ্যে হয়েছিল।
সত্য।
৩। ক-স্তম্ভের সঙ্গে খ-স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো : ১ x
৪ = ৪
ক-স্তম্ভ |
খ-স্তম্ভ |
(ক)
টিপু
সুলতান |
(ঈ)
শ্রীরঙ্গপত্তম |
(খ)
স্বামী
দয়ানন্দ
সরস্বতী |
(অ)
আর্যসমাজ |
(গ)
রবীন্দ্রনাথ
ঠাকুর |
(আ)
শান্তিনিকেতন |
(ঘ)
মোহনদাস
করমচাঁচ
গান্ধি |
(উ)
স্বরাজবন্দনা |
৪। বেমানান শব্দটি খুঁজে বের করো : ১×২=২
(ক)
বিনয় বসু, গণেশ ঘোষ, বাদল গুপ্ত, দীনেশ
গুপ্ত। (এটি একটি বেমানান নাম, বাকি তিনজন বিপ্লবী ছিলেন।)
(খ)
বাহাদুর শাহ জাফর, নানাসাহেব, তিতুমির, মঙ্গল
পাণ্ডে। (এটি একটি বেমানান নাম, বাকি তিনজন স্বাধীনতা সংগ্রামী ছিলেন।)
৫। দু-একটি শব্দে উত্তর দাও (যে-কোনো আটটি) : ১×৮=৮
(ক)
'সত্যশোধক সমাজ'
কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর : - স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী।
(খ)
সিধু ও কানহ কোন্ বিদ্রোহে নেতৃত্ব দান করেন?
উত্তর : - সাঁওতাল বিদ্রোহ।
(গ)
কত খ্রিস্টাব্দে গান্ধিজী অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন?
উত্তর : - ১৯২০।
(ঘ)
কোন গান্ধিবাদী সংগ্রামী নেতা ‘সীমান্ত গান্ধি' নামে পরিচিত?
উত্তর : - খান আব্দুল গফফার খান।
(ঙ)
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বাংলা বিভাজনের পরিকল্পনা কে করেছিলেন?
উত্তর : - লর্ড কার্জন।
(চ)
কার নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠন করা হয়?
উত্তর : - সূর্য সেন-এর নেতৃত্বে।
(ছ)
১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের 'নৌবিদ্রোহ' কোন জাহাজ থেকে আরম্ভ হয়েছিল?
উত্তর : - এইচএমএস ত্রিভেঙ্গা।
(জ)
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের মুসলিম লিগের লাহোর অধিবেশনে সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তর : - মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ।
(ঝ)
পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?
উত্তর : - বিধান চন্দ্র রায়।
৬। দুটি বা তিনটি বাক্যে উত্তর দাও (যে-কোনো আটটি) : ২×৮ =১৬
(ক) ‘ফারজি আন্দোলন' কী?
উত্তর : - ফারজি আন্দোলন ছিল একটি কৃষক আন্দোলন যা ১৯২০-এর দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ভারতের পাটের উৎপাদন ও বাজার দরের উপর কৃষকদের অধিকারের দাবি জানায়। এই আন্দোলনে কৃষকরা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
(খ) 'অন্ধকূপ হত্যা' বলতে কী বোঝো?
উত্তর : - অন্ধকূপ হত্যা ১৯৪৬ সালে নৌবিদ্রোহের সময় সংঘটিত হয়েছিল, যখন ভারতীয় নাবিকরা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। এই ঘটনায় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ নাবিকদের ওপর গুলি চালায়, যা দেশব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেয়।
(গ) ‘অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ' কী?
উত্তর : - অর্থনৈতিক জাতীয়তাবাদ হল একটি আন্দোলন যা ভারতীয় শিল্প ও কৃষির উন্নয়নে জোর দেয়। এর মাধ্যমে ভারতীয় জনগণ বিদেশি পণ্যের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দেশীয় উৎপাদনের প্রসার ঘটাতে চেয়েছিল।
(ঘ) ‘বীরেশলিঙ্গম পাণ্ডুলু' ইতিহাসে
স্মরণীয় কেন?
উত্তর : - বীরেশলিঙ্গম পাণ্ডুলু ছিলেন একজন বিখ্যাত কৃষক নেতা যিনি দক্ষিণ ভারতের কৃষকদের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করেছিলেন। তিনি ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেন এবং কৃষকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করেন।
(ঙ) 'পলাশির লুণ্ঠন' কাকে বলে?
উত্তর : - পলাশির লুণ্ঠন বলতে ১৭৫৭ সালে পলাশির যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জয়কে বোঝায়, যা ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসনের সূচনা করেছিল। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পরাজিত হন।
(চ) 'স্বত্ববিলোপ নীতি' কী?
উত্তর : - স্বত্ববিলোপ নীতি হল ব্রিটিশ সরকারের একটি নীতি যার মাধ্যমে জমিদারী ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়েছিল। এর ফলে কৃষকদের মধ্যে জমির মালিকানা বাড়ানো হয় এবং সামাজিক পরিবর্তন আসে।
(ছ) জাতীয় কংগ্রেসের 'সুরাট অধিবেশন' (১৯০৭ খ্রি.) ব্যর্থ হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : - সুরাট অধিবেশন ১৯০৭ সালে জাতীয় কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধের কারণে ব্যর্থ হয়। এই অধিবেশন পন্থীদের মধ্যে গুরুতর বিভেদ সৃষ্টি করে, যা পরবর্তীকালে আন্দোলনের ঐক্যকে ক্ষুণ্ণ করে।
(জ) 'মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার' বলতে কী বোঝো?
উত্তর : - মন্টেগু চেমসফোর্ড সংস্কার ছিল ১৯১৯ সালে প্রবর্তিত একটি রাজনৈতিক সংস্কার যা ভারতের স্বশাসনের জন্য প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হয়। এই সংস্কারের মাধ্যমে আইনসভায় কিছু আসন ভারতীয়দের জন্য সংরক্ষিত হয়।
(ঝ) 'সার্বভৌম' বলতে কী বোঝায়?
উত্তর : - সার্বভৌম বলতে একটি দেশের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও সার্বভৌমত্ব বোঝায়, যেখানে সেই দেশের জনগণের স্বাধিকারে স্বাধীনভাবে নিজেদের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনা করার ক্ষমতা থাকে।
৭।
(ক) কে, কীভাবে,
কবে হায়দরাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?
উত্তর : - হায়দরাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৪৮ সালে, যখন ভারত সরকারের নেতৃত্বে সর্দার বল্লভভাই পটেল রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অভিযান চালান। হায়দরাবাদ তখন নবাব মীর উসমান আলির শাসনে ছিল এবং এটি একটি স্বাধীন রাজ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। সর্দার পটেল ও অন্যান্য নেতারা স্বায়ত্তশাসনের পক্ষে এবং স্বাধীনতার পক্ষে কট্টর অবস্থান গ্রহণ করেন। তারা হায়দরাবাদে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে, যা "অপারেশন পোলো" নামে পরিচিত। এই অভিযানটির মাধ্যমে হায়দরাবাদে আঞ্চলিক শাসন প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তা ভারতের মূল অংশে একীভূত হয়। এই প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি অন্যান্য স্বাধীন রাজ্যগুলির একীকরণের ক্ষেত্রে একটি উদাহরণ স্থাপন করে। এছাড়াও, এই শাসনের মাধ্যমে হায়দরাবাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি নতুন অধ্যায় শুরু হয়।
(খ) 'ফারুখশিয়রের ফরমান সম্পর্কে টীকা লেখো।
উত্তর : - ফারুখশিয়রের ফরমান ১৭০৭ সালে মোগল সম্রাট ফারুখশিয়রের দ্বারা জারি করা হয়েছিল। এই ফরমানটি মূলত বাংলার রাজস্ব ও প্রশাসনিক ব্যবস্থার ওপর প্রভাব ফেলেছিল। ফরমানের মাধ্যমে রাজ্যের আভিজাত্যের উপর নতুন কর আরোপ করা হয়েছিল, যা বৃহত্তর জমিদারদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি করে। এতে করে রাজস্ব আদায়ে জটিলতা দেখা দেয় এবং কৃষকদের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। ফারুখশিয়রের ফরমান ছিল সম্রাটের কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার চেষ্টা, কিন্তু এটি সাম্রাজ্যের ভেতরকার দুর্বলতা ও অসন্তোষকে উসকে দেয়। এই সময়ে মোগল সম্রাজ্যের ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পেতে থাকে এবং বিভিন্ন অঞ্চলে বিদ্রোহের সৃষ্টি হয়। ফরমানটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত, যা আমাদের জানায় কিভাবে একটি সিদ্ধান্তের প্রভাব একটি বৃহৎ সাম্রাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।
(গ) নারীশিক্ষা প্রসারে 'বিদ্যাসাগর'-এর ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর : - বিদ্যাসাগর ছিলেন ১৯শ শতাব্দীর একজন অন্যতম প্রধান সমাজ reformer
এবং শিক্ষা উদ্যোক্তা। তিনি নারীদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার গুরুত্ব উপলব্ধি করেন এবং নারীর অবস্থানের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে শুরু করেন। ১৮৫৬ সালে, তিনি প্রথম নারী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যা বাংলায় নারীশিক্ষার একটি নতুন যুগের সূচনা করে। বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় নারীশিক্ষা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, এবং তিনি সমাজে নারীদের অধিকার ও শিক্ষা প্রসারের জন্য বিভিন্ন লেখনী প্রকাশ করেন। এছাড়াও, তিনি 'বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধকরণ' এবং 'সতীদাহ প্রথার বিরোধিতা' করেন, যা নারীর উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিদ্যাসাগরের আদর্শ এবং কাজের ফলে বাংলার সমাজে নারীশিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং নারীরা শিক্ষার সুযোগ পেতে শুরু করেন। তাঁর উদ্যোগ এবং মনোভাব আজও নারীর শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রেরণা হিসেবে বিবেচিত হয়।
(ঘ) নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কোন্ কোন্ প্রথার বিরোধিতা করেছিলেন?
উত্তর : - নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী, যা ১৯শ শতাব্দীর শেষের দিকে গঠিত হয়েছিল, সামাজিক সংস্কার এবং নবজাগরণের জন্য কাজ করেছিল। তারা সতীদাহ, বাল্যবিবাহ, এবং কন্যাদান প্রথার মতো অবৈজ্ঞানিক এবং ক্ষতিকর প্রথার বিরুদ্ধে জোরালো বিরোধিতা করে। সতীদাহ প্রথা ছিল একটি নিষ্ঠুর এবং অমানবিক প্রথা, যেখানে স্বামী মৃত্যুর পর স্ত্রীকে জোর করে স্বামী চিতায় পুড়িয়ে মারা হতো। নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর সদস্যরা এ ধরনের প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং নারীশিক্ষার প্রসারের পক্ষে কাজ করেন। এছাড়াও, তারা বাল্যবিবাহের প্রথা বিরোধী ছিলেন, কারণ এটি নারীদের জীবনে সীমাবদ্ধতা এবং অশিক্ষার জন্ম দিত। তারা সমাজে নারীর অধিকার এবং মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য সচেতনতা তৈরি করেন এবং নতুন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তনের চেষ্টা করেন। তাদের প্রচেষ্টা বাংলায় সামাজিক পরিবর্তনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
(ঙ) 'দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা' বলতে কী বোঝো?
উত্তর : - দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা একটি প্রশাসনিক কাঠামো যা ব্রিটিশ শাসনের সময় ভারতে কার্যকর ছিল। এই ব্যবস্থায় দুটি সরকারী স্তর বিদ্যমান ছিল—একটি কেন্দ্রীয় সরকার এবং একটি স্থানীয় সরকার। স্থানীয় সরকার সাধারণত রাজ্যগুলির মধ্যে কার্যকর ছিল, যেখানে রাজা বা জমিদাররা তাদের নিজস্ব অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ রাখতেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন ছিল আবশ্যক। এটি কার্যকরভাবে রাজ্যের প্রশাসনে এবং সামরিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে দুই ধরনের শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার সুযোগ প্রদান করেছিল। দ্বৈতশাসন ব্যবস্থা প্রথমে কার্যকর হয় ১৯০৯ সালের মোরলে-মিন্টো সংস্কারের মাধ্যমে, যেখানে স্থানীয় সরকারকে কিছু ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল। তবে, এটি অত্যন্ত জটিল এবং কিছু ক্ষেত্রে অকার্যকর হয়ে পড়ে। এই ব্যবস্থায় স্থানীয় নেতৃত্বের কার্যকারিতা সীমাবদ্ধ থাকায় অনেক সময় কৃষক ও সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
(চ) 'ইলবার্ট বিল বিতর্ক' কী?
উত্তর : - ইলবার্ট বিল বিতর্ক ১৮৮৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক ইস্যু ছিল। বিলটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় নাগরিকদের জন্য আদালতে বিচারিক ক্ষমতা বাড়ানো, বিশেষ করে ভারতীয় আদালত কর্তৃক ব্রিটিশ নাগরিকদের বিচার করার অধিকার প্রদান করা। এই বিলটি ব্রিটিশ প্রশাসনের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দেয়, কারণ ব্রিটিশরা ভারতীয়দের বিচার পাওয়ার অধিকার নিয়ে চিন্তিত ছিল। বিলটি পাশ হলে ব্রিটিশদের ওপর ভারতীয়দের বিচার প্রক্রিয়ায় আরও প্রভাব আসবে বলে তারা ভেবেছিলেন। এর ফলে, বিলটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়, যেখানে বিভিন্ন ব্রিটিশ কর্মকর্তা এবং ভারতীয় নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। এই বিতর্কটি ব্রিটিশদের মধ্যে একটি বৃহত্তর উত্তেজনা এবং ভারতীয় জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(ছ) ঔপনিবেশিক সমাজে কাদের 'মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক' বলা হতো?
উত্তর : - ঔপনিবেশিক ভারতীয় সমাজে 'মধ্যবিত্ত ভদ্রলোক' বলতে সাধারণত সেই সকল শিক্ষিত, শহুরে এবং অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ব্যক্তিদের বোঝানো হয়, যারা সংস্কৃতির জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী ছিলেন এবং সমাজে একটি বিশেষ মর্যাদা অর্জন করতে চেয়েছিলেন। এই শ্রেণির মানুষ সাধারণত সরকারি চাকরি, ব্যবসা বা শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মরত ছিলেন এবং তারা বাঙালি নবজাগরণের অগ্রভাগে ছিলেন। তারা ইংরেজি শিক্ষা গ্রহণ করে আধুনিক চিন্তা-ভাবনা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হন এবং সমাজের বিভিন্ন প্রথার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাতে শুরু করেন। মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকদের মধ্যে কবি, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ এবং সমাজ সংস্কারকরা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। তাদের চিন্তাভাবনা এবং কর্মকাণ্ড নতুন সামাজিক ধারণা এবং রাজনৈতিক আন্দোলনের উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই শ্রেণির মানুষগুলি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এবং বাংলা সংস্কৃতির বিকাশে একটি মাইলফলক স্থাপন করে।
৮। (ক) কৃষকদের অধিকার রক্ষায় তেভাগা ও তেলেঙ্গানা আন্দোলনের বিবরণ দাও।
উত্তর : -
তেভাগা আন্দোলন:
পটভূমি:
১৯৪৬ সালে বাংলায় কৃষকদের মধ্যে ভূমির মালিকানা ও ভাগের অধিকার নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়।
মুল উদ্দেশ্য:
কৃষকদের দাবি ছিল ৫০% উৎপাদন ভাগ হিসেবে প্রাপ্য। সেসময় কৃষকরা জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
শ্রেণি সংঘাত:
কৃষকেরা চাষের জন্য জমি ভাড়া নিয়ে কাজ করত, কিন্তু জমিদাররা তাদের উপর অত্যাচার করতেন।
প্রতিক্রিয়া:
তেভাগা আন্দোলন থেকে কৃষকদের মধ্যে সংগঠনের চেতনা বৃদ্ধি পায় এবং তারা একত্রিত হয়।
তেলেঙ্গানা আন্দোলন:
পটভূমি:
১৯৪৬ সালে তেলেঙ্গানা অঞ্চলে কৃষকদের ভূমির অধিকার ও সামাজিক ন্যায়ের জন্য আন্দোলন শুরু হয়।
কমিউনিস্ট পার্টির ভূমিকা:
আন্দোলনে কৃষকদের সংগঠিত করতে কমিউনিস্ট পার্টি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে।
সংগ্রাম:
কৃষকেরা স্থানীয় জমিদার ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হন।
ফলাফল:
১৯৫১ সালে সরকার আন্দোলনের দাবি মেনে নিয়ে কৃষকদের অধিকারের স্বীকৃতি দেয়।
(খ) স্যার সৈয়দ আহমদ খান কীভাবে মুসলমান সমাজকে আধুনিকীকরণের পথে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন তা বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : -
শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব:
স্যার সৈয়দ আহমদ খান মুসলমান সমাজের আধুনিকীকরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে শিক্ষাকে গুরুত্ব দেন।
মহামানব ও সমাজ সংস্কারক:
তিনি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন, যেখানে আধুনিক শিক্ষা প্রদান করা হয়।
বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদের প্রচার:
তিনি মুসলমানদের মধ্যে বিজ্ঞান, যুক্তি, এবং আধুনিক চিন্তার প্রবর্তন করেন।
লেখনী ও প্রকাশনা:
তিনি ‘তহযীব’-এর মাধ্যমে মুসলিম সমাজের সংস্কৃতি ও উন্নতির দিকগুলো তুলে ধরেন।
মৌলিক অধিকার ও স্বতন্ত্রতা:
তিনি মুসলমানদের মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতার বিষয়ে সচেতন করেন।
রাজনৈতিক সচেতনতা:
স্যার সৈয়দ রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি করেন, মুসলমানদের অধিকার রক্ষার জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সমাজে পরিবর্তন:
তাঁর কাজ মুসলমান সমাজে পরিবর্তনের আবহ তৈরি করে এবং তারা আধুনিকতার পথে এগিয়ে চলে।
(গ) ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে সুভাষচন্দ্র বসু ও আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভূমিকা বিবৃত করো।
উত্তর : -
সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্ব:
সুভাষচন্দ্র বসু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা।
আজাদ হিন্দ ফৌজ:
১৯৪২ সালে তিনি আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করেন, যা ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রীয় সত্তা:
আজাদ হিন্দ বাহিনী ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করে এবং স্বাধীনতার সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করে।
মহাত্মা গান্ধীর বিরুদ্ধে বিপরীততা:
গান্ধীর অহিংস আন্দোলনের বিপরীতে বসু সশস্ত্র সংগ্রামকে গুরুত্ব দেন।
ত্রিস্তরীয় সরকার:
তিনি স্বাধীন ভারত সরকারের প্রধান হিসেবে “ভারতকে স্বাধীন” করার উদ্দেশ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
আন্তর্জাতিক সমর্থন:
বসু আন্তর্জাতিক মহলে ভারতীয় স্বাধীনতার জন্য সমর্থন লাভের চেষ্টা করেন।
মহান আত্মত্যাগ:
তাঁর নেতৃত্বে বাহিনী ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে, যদিও তারা সফল হতে পারেনি, কিন্তু তাদের ত্যাগ ও আদর্শ জাতীয়তাবোধকে উজ্জীবিত করে।
(ঘ) বিপ্লববাদী আন্দোলনের পটভূমিকা এবং ফলাফল বিচার করো।
উত্তর : -
পটভূমিকা:
১৯শ শতাব্দীর শেষ দিকে ভারতীয় সমাজে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে অসন্তোষ বাড়তে থাকে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা:
সমাজের বিভিন্ন স্তরে ন্যায় ও স্বাধীনতার দাবিতে বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে ওঠে।
বিপ্লবীদের কাজ:
বিপ্লবীরা সাধারণত সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। উল্লেখযোগ্য সংগঠনগুলোর মধ্যে হিন্দু রাস্ত্র সৈনিক, গোপাল গাঙ্গুলির নেতৃত্বে অগ্নির হাত এবং ফেনীতে বনেদি প্রতীকের সাথে যুক্ত ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড এবং কংগ্রেসের রাজনৈতিক আন্দোলনের পাশাপাশি বিপ্লবীরা নিজেদের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয়তাবোধ জাগিয়ে তোলেন।
ফলাফল:
বিপ্লবী আন্দোলনের ফলে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসে। ব্রিটিশ সরকারের দমন-পীড়ন এবং বিদ্রোহীরা জেলে বা মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন।
ঐতিহাসিক প্রভাব:
বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ ভারতীয়দের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং পরবর্তীকালে দেশবাসীর মধ্যে সংগ্রামের একটি নতুন মাত্রা সৃষ্টি করে।
Frequently Asked Questions
Q) ভারতমাতা ছবিটি কে আঁকেন?
Ans: - অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
Q) গদর পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কে?
Ans: - লালা হরদয়াল।
Q) ‘ফরাজি’ কথার অর্থ কী?
Ans: - ইসলাম নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্তব্য।
Enter Your Comment