অষ্টম শ্রেণীর বিজ্ঞান। পঞ্চম অধ্যায়: প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষন MCQ Mock Test
প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষণ Class 8 । মহামারী Class 8 MCQ Test
বিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যায় 5 প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষণের Mock Test তোমাদের সিলেবাস এর উপর ভিত্তি করে অভিজ্ঞ শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের দ্বারা বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলি দিয়ে তৈরী হয়েছে। তাই এই প্রশ্নগুলি তোমাদের পরীক্ষায় আসার সম্ভবনাও অনেক বেশি। আর এই মক টেস্টটি দেওয়ার ফলে তোমাদের প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষণ অধ্যায়ের ধারণাও অনেক পরিষ্কার হবে।কারণ তোমরা এখানে নিত্য নতুন প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।
Class 8 প্রাকৃতিক ঘটনা ও তার বিশ্লেষণ প্রশ্ন । Class 8 Science MCQ Practice
এই মক টেস্টে তোমাদের জন্য থাকছে 20 টি প্রশ্ন , আর প্রতিটি প্রশ্নের মান 5 করে। সঠিক করলে 5 Points পাবে আর ভুল করলে 0 পাবে। প্রতিটা প্রশ্নের জন্য 2 Minutes করে সময় পাবে।
Subject (বিষয়) |
Science (বিজ্ঞান)
|
Class
(শ্রেণী) |
8
(অষ্টম) |
Chapter (অধ্যায়) |
5
|
Name of The Chapter (অধ্যায়ের
নাম) |
প্রাকৃতিক
ঘটনা
ও তার
বিশ্লেষণ
|
Total Questions (প্রশ্ন
সংখ্যা) |
20
|
Total Marks (পূর্ণমান) |
100 |
Times of each question |
60 Second |
Subject (বিষয়) |
Science (বিজ্ঞান)
|
Mock Test টি দেওয়ার জন্য নিচের দেওয়া Start Quiz Button এ ক্লিক করো।
মক টেস্ট দেওয়ার পর সাথে সাথে রেজাল্ট পেয়ে যাবে এবং যেগুলি ভুল হয়েছে তার সঠিক উত্তর পেয়ে যাবে। তোমাদের যদি মনে হয় কোথাও যে , কোনো প্রশ্নের উত্তর ভুল দেওয়া আছে তাহলে তোমরা অবশ্যই নিচে দেওয়া Contact Form অথবা কমেন্ট করে (Comment) প্রশ্ন নাম্বার এবং প্রশ্নটি টুকে সঠিক উত্তর সাবমিট (Submit) করবে। আশা করছি তোমাদের এই মক টেস্ট দেওয়ার ফলে অনেক বেশি উপকৃত হবে এবং মক টেস্টটি কেমন লাগলো অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবে।
টিকাকরণ এবং অনার্ক্রমতাকরণ : -
দেহে জীবাণু বা জীবাণুসৃষ্ট পদার্থ কৃত্রিমভাবে প্রবেশ করিয়ে ওই রোগের সাপেক্ষে দেহের প্রতিরোধক্ষমতা বা অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি করার প্রক্রিয়াকে টিকাকরণ (Vaccination) বলে এবং যে পদার্থকে দেহে প্রবেশ করানো হয়, তাকে টিকা(Vaccine) বলে। ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে আ খাওয়ানোর দ্বারা (যেমন: পোলিও টীকা) প্রতিষেধক টাকা দেহে প্রবেশ করানো হয়। এই টাকা দেহে প্রবেশ করে নির্ধারিত অ্যান্টিবডি গঠনে সাহায্য করে।
টীকা প্রস্তুতির উপায় টাকা সাধারণত নিম্নলিখিত চার রকমভাবে তৈরি করা হয়, যথা :
(i) মৃত জীবাণু : যথা টাইফয়েডের TABC টীকা।
(ii) জীবিত কিন্তু শক্তি হ্রাসপ্রাপ্ত জীবাণু, যথা : যক্ষার BCG টাকা।
(iii) জীবিত এবং সম্পূর্ণ ক্ষতিকারক জীবাণু, যথা: গোরুর পদ্ম ভাইরাসের দ্বারা মানুষের স্মল পক্সের টীকাকরণ।
(iv) টক্সয়েড টীকা, যথা : ডিপথেরিয়া এবং টিটেনাসের টীকা। এগুলি হল ব্যাকটিরিয়া নিঃসৃত বিষাক্ত পদার্থের নিষ্ক্রিয় অবস্থা।
ভারতের শিশুদের জন্য জাতীয় টীকাকরণ কর্মসূচি হল :
3-12 মাস - DTP 3 মাত্রা, 4-6 সপ্তাহ পর পর পোলিও (মুখে) 3 মাত্রা, 4-6 সপ্তাহ পর পর BCG (ত্বকে)।
9-15 মাস - হামের টীকা একবার মাত্র।
18-24 মাস - DPT-বুস্টার মাত্রা (পোলিও মুখে) বুস্টার মাত্রা।
5-6 বছর - DT-বুস্টার মাত্রা টাইফায়েড টীকা 2 মাত্রা, 1-2 মাস পর।
10 বছর - টিটেনাস টক্সয়েড বুস্টার মাত্রা, টাইফয়েড টীকা বুস্টার মাত্রা।
16 বছর - টিটেনাস টক্সরেড বুস্টার মাত্রা, টাইফয়েড টীকা বুস্টার মাত্রা।
Q) ভাইরাস কাকে বলে ? ভাইরাসের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ কর।
ভাইরাসের সংজ্ঞা (Definition of Virus) : নিউক্লিওপ্রোটিন দ্বারা গঠিত, অ-কোশীয়,সুক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম, কেবলমাত্র পোষকের দেহেই বংশবিস্তারে সক্ষম জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের একধরনের বস্তুকে ভাইরাস বলে।
ভাইরাসের বৈশিষ্ট্য (Characteristics of virus) :
1. ভাইরাস জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের একরকম রোগ সৃষ্টিকারী বস্তু (organism) |
2.ভাইরাসের দেহে সাইটোপ্লাজম, নিউক্লিয়াস বা নিউক্লিয় বস্তু, কোশ-অঙ্গাণু ইত্যাদি না থাকায় ভাইরাস অকোশীয় (acellular)।
3. ভাইরাস হল অতি সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম এক ধরনের অণু আণুবীক্ষণিক (Sub-microscopic) বন্ধু, যা সহজেই অণু-পরিশ্রুতির (microfilter) অতি সূক্ষ্ম ছিদ্রের মধ্য দিয়ে অতিসহজেই অতিক্রম করতে পারে (ব্যাকটিরিয়া পারে না)।
4. ভাইরাস আকারে এতই ছোটো যে, এদের কেবলমাত্র ইলেকট্রন অণুবীক্ষণ যন্ত্র ছাড়া দেখা যাই না।
5. ভাইরাস বাধ্যতামূলক পরজীবী, এদের কর্ম তৎপরতার চক্রে দুইটি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র দশা দেখা যায়, যথা : বহিঃকোশীয় দশা এবং অন্তকোশীয় দশা। বহিঃকোশীয় দশায় ভাইরাস নির্জীব বা জড় বস্তুর মতো এবং অন্তঃকোশীয় দশায় ভাইরাস পোষক কোশের মধ্যে সজীব অর্থাৎ সজীব মতো আচরণ করে। ভাইরাস পোষক প্রাণীর দেহে নানা রকম রোগ সৃষ্টি করে (যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, বসন্ত, পোলিও, এডস প্রভৃতি রোগ)। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য পোষককে আক্রান্ত করার ব্যাপারে ভাইরাসগুলি বিশেষভাবে নির্দিষ্ট (Specific)। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, পোলিও ভাইরাস শুধুমাত্র বাঁদর ও মানুষকে আক্রমণ করে, কিন্তু অন্য কোনো প্রাণীকে করে না।
6. ভাইরাস কেবল পোষক-দেহের কোশেই প্রজননক্ষম। পোষক-কোশের বাইরে এরা জড় লচুর মতো আচরণ করে।
Q) ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু বলা হয় কেন?
উত্তর : - ভাইরাস দেহে দুটি স্বতন্ত্র দশা দেখা যায়, যেমন : বহিঃকোশীয় দশা (extracellular phase) এবং অন্তঃকোশীয় দোষ (interacellular phase)। অন্তঃকোশীয় দশায় এরা পোষক-কোশের অভ্যন্তরে জীবের মতো আচরণ করে ও বংশবিস্তার করে এবং বহিঃকোশীয় দশায় এরা সম্পূর্ণ জড়ের মতো আচরণ করে। এই বৈশিষ্ট্যগুলির জন্যই ভাইরাসকে জীব ও জড়ের মধ্যবর্তী পর্যায়ের বস্তু বলা হয়।
Q) ভাইরাসের আকার অনুযায়ী ভাইরাসের প্রকারভেদ আলোচনা করো।
উত্তর : - ভাইরাসের আকার : ভাইরাস বিভিন্ন আকারের হয়, যেমন :
1. গোলাকার (Spherical) : পোলিও ভাইরাস আকারে গোল, গল্ফ-এর ছোট্ট বলের মতো।
2. দণ্ডাকার (Red shaped) : তামাক পাতার টোবাকো মোজেক ভাইরাস ছোট্ট দণ্ডের মতো।
3. ডিম্বাকার (Ovoid) : মাম্পস, ইনফ্লুয়েঞ্জা ইত্যাদি রোগের ভাইরাস ডিম্বাকার।
4. ঘনকাকার (Cuboidal) :গুটি বসন্ত রোগের ভাইরাস (ভ্যাকসিনিয়া ও ভ্যারিওলা) ঘনকের মতো।
৫. শুক্রাণু বা ব্যাঙাচি আকার(Spermatozoa -Shaped ওর Tadpole larva -Shaped) : ব্যাকটিরিয়াফাজ বা ফাজ ভাইরাসের আকার অনেকটা শুক্রাণু বা ব্যাঙাচির মতো।
মানবদেহে রোগ সৃষ্টিকারী কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকটেরিয়া
উত্তর : - মানবদেহে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটিরিয়া :
1. ভিব্রিও কলেরি (Vibrio cholerae) : এই ব্যাকটিরিয়া কলেরা রোগ সৃষ্টি করে।
2. মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি (Mycobacterium leprae) : এই ব্যাকটিরিয়া কুষ্ঠ বা লেপ্রোসি রোগ সৃষ্টি করে।
3. মাইকোব্যাকটিরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycobacterium tuberculosis) : এই ব্যাকটিরিয়া যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিস রোগ সৃষ্টি করে।
4. সালমোনেলা টাইফোসা (Salmonella typhosa) বা সালমোনেলা টাইফি (Salmonella typhi ) : এই ব্যাকটিরিয়া টাইফয়েড রোগ সৃষ্টি করে।
Q) মাছি নিয়ন্ত্রণের তিনটি উপায় উল্লেখ করো।
উত্তর : - মাছি দমনের উপায় : যেহেতু মাছি ক্ষতিকর প্রাণী, তাই এদের দমন করা একান্ত প্রয়োজন। মাছি দমনের উপায়গুলি হল :
1. মাছির বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য মল, মূত্র, গোবর, ঘোড়ার বিষ্ঠা, নোংরা আবর্জনা প্রভৃতি যাতে জমে উঠতে না পারে, সেইজন্য লোকালয় থেকে দূরে নির্দিষ্ট স্থানে ওইগুলোকে নিক্ষেপ করা উচিত।
2. উপদ্রুত এলাকায় নানারকম কীটনাশক ঔষধ স্প্রে করতে হবে। আবর্জনাময় স্থানে ব্লিচিং পাউডার, ফিনাইল ইত্যাদি ছড়াতে হবে।
3. মাছির উপদ্রব বাড়লে জলে ফিনাইল গুলে বারান্দা, উঠান, করিডোর ইত্যাদি মুছতে
4. খাদ্যবস্তুর ওপর যাতে মাছি বসতে না পারে, সেইজন্য খাবার সবসময় ঢেকে রাখতে হবে।
5. যেখানে-সেখানে মল-মূত্র ত্যাগ, কফ, থুতু ইত্যাদি ফেলা চলবে না।
Q) মশা নিয়ন্ত্রণের তিনটি উপায় উল্লেখ করো।
উত্তর : - মশা দমনের উপায় -
1. বাড়ির আশ-পাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা।
2. উপদ্রুত এলাকায় বিভিন্ন রকম কীটনাশক ওষুধ—বেগন, ফ্লিট ইত্যাদি স্প্রে করে - মশা ধ্বংস করা।
3. ছোটোখাটো পুকুর, ডোবা প্রভৃতির গর্ত বুজিয়ে ফেলা এবং নর্দমা পরিষ্কার রাখা।
4. মশার প্রজনন স্থানে তেল ঢেলে বা কীটনাশক ওষুধ ছিটিয়ে মশার ডিম, লার্ভা, পিউপা প্রশ্নাদি ধ্বংস করা।
5. পুকুরে মশার লার্ভা ভক্ষণকারী মাছ, যেমন—তেচোখা, খলসে, তেলাপিয়া, গাপ্পি প্রতি মাছ পোষা উচিত। এছাড়াও
6. রাত্রে মশারি খাটিয়ে শোয়া দরকার। মশা তাড়ানোর জন্য কিনো এবং ওডোমস, ম্যাট ও রিপ্লেক্স জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা উচিত।
Q1)কেটে গেলে টিটেনাস কত দিনের মধ্যে দিতে হয় ?
উত্তর : - ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বা দুদিনের মধ্যে।
Q2)মানুষের অন্ত্রে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়ার নাম কি?
উত্তর : - Escherichia coli (এসকেরিকা কলি)।
Q3)টিটেনাস রোগের জীবাণুর নাম কি ?
উত্তর : - ক্লোস্ট্রিডিয়াম টেটানি।
Q4)একটি যৌন সংক্রামক রজার নাম লেখো যা সাধারণত যৌন কার্যকলাপের মাধ্যমে ছড়ায়।
উত্তর : - সিফিলিস।
Q5) ডিপথেরিয়া রোগের কারণ কি ?
উত্তর : - ডিপথেরিয়া হল Corynebacterium diphtheriae নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক সংক্রমণ।
Enter Your Comment