অল্প পড়াশোনা করেও পরীক্ষার ভালো রেজাল্ট করার ৯টি কার্যকরী উপায়
ভালো রেজাল্ট করার স্বপ্ন সবারই থাকে। তার জন্য জরুরি পড়াশোনা। এই পড়াশুনা কীভাবে করতে হবে তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক আজ তোমাদের সামনে তুলে ধরবো। নীচে সেগুলো আলোচনা করা হলো:পড়াশোনার করার অসাধারণ কিছু কৌশলকৌশল:
1. নিয়মিত পড়া: নিয়মিত পড়ার অভ্যাস সর্বপ্রথম তৈরী করতে হবে। সেটি ১ ঘন্টায় হোক কিংবা ১০ ঘন্টা কিন্তু তৈরী করতে হবে। এতে করে তোমার একটি ভালো অভ্যাস তৈরী হবে।
2. সময়সূচী তৈরি করা: তোমরা তোমাদের সুবিধা মতো একটি সময়সূচি তৈরী করো। যেখানে সকাল থেকে রাত অবধি কোন বিষয় কখন পড়বে এবং কীভাবে পড়বে তা লিখে ফেলো। ঠিক যেমন ভাবে তোমাদের বিদ্যালয়ে তোমাদের রুটিন দেয় ,
যে বাংলা হবে প্রথম ক্লাস তারপরে ইংরেজি। ঠিক সেইরকম ভাবে তুমি একটি সময়সূচি তৈরী করো ,
যেখানে তোমার পছন্দ মতো বিষয় গুলিকে সাজিয়ে ফেল। আর কিছু টিপস দিলাম - যে সাবজেক্ট তোমরা সব থেকে বেশি শক্ত লাগে তুমি সেই সাবজেক্টকে সকালে পড়ার চেষ্টা করো। এতে
করে সেই সাবজেক্ট এর প্রতি তোমার দুর্বলতা অনেক কমে আসবে। আর যে সাবজেক্ট তোমার খুব সহজেই হয়ে যাই সেই সাবজেক্ট কে তুমি একটু কম সময় দিতে পারো।
3. মনোযোগী হয়ে ওঠা: পড়াশুনা করার সময় একটি নিরিবিলি জায়গা বেছে নাও যাতে করে তোমার পড়াশুনার প্রতি মনোযোগ থাকে। কারণ মনোযোগ না থাকলে পড়ার প্রতি ,
তুমি একটা বিষয়কে ১০ বার বা ১০০০ বার যতবারই পর না কেন মাথায় ঢুকবেনা। তাই
সর্ব প্রথম একটা নিস্তব্ধ জায়গায় পড়তে বস। ঘরে
বসলে দরজা দিয়ে পড়তে বসবে যাতে তোমায় কেউ বিরক্ত করতে
না পারে।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার কার্যকর উপায়
4. কঠিন বিষয় : এরকম কিছু কিছু বিষয় থাকে যেগুলো বুঝতে অনেক সময় লাগে। বা আমাদের প্রথমে সেই বিষয়বস্তুকে আয়ত্ত করতে পারিনা। যেমন
তোমাদের একটা উদাহরণ দিই ,
আমি যখন ক্লাস ১২ এ পড়তাম তখন আমি একটা অঙ্ক বুঝতে পারিনি, আর স্যার দের কেউ অঙ্ক জিজ্ঞাসা করেছিলাম কিন্তু কোনো লাভ হয়নি ,
কারণ কেউ সমাধান দিতে পারিনি। আর
আমার এতটাই ভাগ্য খারাপ যে ওই অঙ্কটাই পরীক্ষায় চলে আসে। কিন্তু আমি সেদিন অঙ্কটাকে দেখে হাল ছাড়িনি আর আমি নিজে থেকেই অঙ্কটার সমাধান করি ,
আর সফল ও হই। তাই
তোমাদের বলবো হাল ছেড়োনা একদিন না একদিন বিষয় বস্তুকে বুঝতে পারবে সেটা ১ দিন লাগতে পারে আবার ১ বছর ও লাগতে পারে। কিন্তু যেদিন বুজবে সেদিন অনেক আনন্দ পাবে।
5. গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চিহ্নিত করা:
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিকে আগে ভালো করে চিহ্নিত করো। যেখান থেকে বার বার প্রশ্ন আসে। এর জন্য তোমরা সাহায্য নাও বিগত বছরের প্রশ্ন পত্রের। ভালো করে প্রশ্নপত্রগুলিকে analysis
করো। আর
যেখান থেকে বার বার প্রশ্ন এসেছে সেগুলো বইতে দাগ দাও বা খাতায় লেখো।
6. নোট তৈরি করা:
নোট তৈরী অত্যন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় একটি। কারণ
পরীক্ষার সময় তোমার নিজের হাতে তৈরী করা নোটসই তোমার সহায়ক। যেটি তোমাকে অল্প সময়ে সব মনে করিয়ে দেবে। তাই খাতায় নোটস লেখা প্রাকটিস করো।
7. প্রশ্ন তৈরি করা:
পড়ার সময় বার বার নিজেকে প্রশ্ন করো যে আমি যে বিষয়টিকে পড়ছি তার গুরুত্ব কী বা তার ব্যবহার কোথায় বা কীসের জন্যই বা পড়ছি। জিনিসগুলোকে বোঝার চেষ্টা করো। কারণ বুঝে পড়লে বিষয়বস্তু দীর্ঘ সময় ধরে মনে থাকে।
8. পর্যালোচনা করা:
তুমি রিভিশন করার অভ্যাস গড়ে তোলো। প্রতি সপ্তাহে এমন একটি দিন ঠিক করো যেদিন তুমি ৬ দিন ধরে যা পড়েছো বা যা জেনেছো সব একদিনে রিভিশন করবে । এতে
করে তোমার বিষয়বস্তু খুব সহজে এবং দীর্ঘ সময় মনে থাকবে।
9. পরীক্ষা দেওয়া :
নিয়মিত পরীক্ষা দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে ,
যাতে করে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পারো। এর জন্য তোমরা কোনো বইয়ের সাহায্য নিতে পারো। কিংবা বিগত বছরের প্রশ্নপত্রগুলিকে সমাধান করো।
এছাড়া তোমাদের কোনো বিষয়ে সমস্যা হলে শিক্ষক বা শিক্ষিকাদের সাহায্য নাও।
বিভিন্ন প্রকার নোটস , সাজেশান এবং মক টেস্ট পাওয়ার জন্য ইনফো এডুকেশন্স তোমাদের ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে। তাই আমাদের বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া তে তোমরা এক্ষুনি যুক্ত হয়ে যাও এই সুবিধা উপভোগ করার জন্য।
তোমরা যদি আমাদের সাথে কন্টাক্ট (Contact) করতে চাও তাহলে – Click Here
তোমরা যদি টেলিগ্রাম (Telegram) চ্যানেলের সাথে যুক্ত হতে চাও তাহলে - Click Here
তোমরা যদি হোয়াটস্যাপ (WhatsApp) চ্যানেলের সাথে যুক্ত হতে চাও তাহলে - Click Here
তোমরা যদি ফেসবুক পেজে (Facebook Page) যুক্ত হতে চাও : - Click Here
Enter Your Comment